নাটের গুরু নোয়াখালীর ডিসি: ওবায়দুল কাদেরের ভাই
পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে অস্ত্রের মহড়া চলছে বলে অভিযোগ করেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। তিনি এসবের জন্য নোয়াখালীর জেলা প্রশাসককে দোষারুপ করেছেন।
আবদুল কাদের মির্জা বুধবার সকাল ৮টায় তার নির্বাচনী অফিসে লাইভ ভিডিওতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি মহল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা অস্ত্র পাঠিয়েছেন এবং প্রশাসনকে বারবার বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। আর এসবের নাটের গুরু হচ্ছেন ডিসি। তিনি নিরপেক্ষ নন তিনি এক নেতার মাস্ক পরে প্রমাণ করলেন তিনি তার আদেশে কাজ করেন। তার প্রমাণ হচ্ছে– ডিসি ওই নেতার পরামর্শে জামায়াত-শিবিরের সমর্থকদের নির্বাচন অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন।
নির্বাচনে জয়ের আশা ব্যক্ত করে নৌকার এই প্রার্থী বলেন, আমি মানুষের শতভাগ সাড়া পাচ্ছি। ভোটে জয়ী হব ইনশাআল্লাহ। এখন আমার চেষ্টা হবে যেন কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, আমার জনগণের রক্ত ঝরাতে না পারে।
তিনি বলেন, ভোটাররা ভোট দেবেন। ভোটের দিন বাইরে কোনো অনিয়ম ঘটলে পুলিশ, প্রশাসন, ডিসি, নির্বাচন অফিসারকে জবাব দিতে হবে। বসুরহাটের জনতা জবাব নিয়ে ছাড়বে।
তিনি বলেন, সন্দ্বীপের হিরোরা মাঠে নামতে পারেন না, ফেনীতে পেশিশক্তি দেখিয়ে কমিশনাররা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় কেন? কেন তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিতর্কের মুখে ফেলেন? কারণ তাদের জনপ্রিয়তা নেই। তাই তারা শক্তি দেখান।
নোয়াখালীর এক এমপি বিএনপি নেতা হারুনের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা বসুরহাটে পাঠিয়েছেন অভিযোগ করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বিএনপি প্রার্থী জিতবেন না জেনেও আওয়ামী লীগের ওই এমপি আমাদের নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য টাকা পাঠিয়ে অস্ত্র পাঠিয়ে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে মেতে আছেন।
কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর অপরাজনীতির কারণে ত্যাগী নেতারা হারিয়ে যাচ্ছেন। একটা গরিবের ছেলেকে চাকরি নিতে ৫-৭ লাখ টাকা ঘুষ লাগে। আমার ভাষণ নিয়ে কে কি বলেছে, তা শোনার সময় আমার নেই। আমার নেত্রী আমার কথায় সমর্থন আছে বলে আমার বিশ্বাস। তা না হলে আমি কাজ করতে পারতাম না। এতটা এগোতে পারতাম না। তাই নেত্রীকে কথা দিচ্ছি– বসুরহাট পৌরসভার সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়ে দলকে জিতিয়ে আনব।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)