এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইরানি নারী নার্গিস মোহাম্মদি। নরওয়ের নোবেল কমিটি গতকাল শুক্রবার ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৫১ বছর বয়সি এই মানবাধিকারকর্মীর নাম ঘোষণা করে। তবে নোবেল কমিটির এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। এ ছাড়া দেশটির গণমাধ্যমগুলোতেও এর সমালোচনা করা হয়েছে।
তেহরানের পক্ষ থেকে নার্গিসকে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। নোবেল কমিটির এ সিদ্ধান্তকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, নোবেল কমিটি দাবি করেছে, ইরানে নারীদের ওপর কথিত নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, ইরানের আদালতে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় নার্গিস মোহাম্মাদিকে মোট ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন জেলখানায় দণ্ড ভোগ করছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কিছু ইউরোপীয় দেশ যে ‘ইরানবিদ্বেষী ও হস্তক্ষেপমূলক নীতি’ মেনে চলে, তারই অংশ হিসেবে নোবেল কমিটি এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নাসের কানয়ানি আরও বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো চাপ প্রয়োগের যে কৌশল গ্রহণ করেছে, তারই ধারাবাকিতায় নোবেল কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত তাদের কোনো উপকারে আসবে না বরং স্বাধীনচেতা জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে ইরানি জাতিকে আরও বেশি সংকল্পবদ্ধ করবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মাদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘এই পুরস্কারের প্রাথমিক উদ্দেশ্য থেকে হতাশাজনক বিচ্যুতি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরানের বেশ কিছু গণমাধ্যম।
বার্তা সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা যায়, ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা, তাসনিম নিউজ এজেন্সি ও মেহের নিউজ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন ও সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। যেখানে নার্গিসকে ইরানবিরোধীদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করার পাশাপাশি নোবেল কমিটির সমালোচনা করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]