যশোর জেলার মণিরামপুরের হাট-বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত হয়ে উচ্চবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে গিয়ে।
নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে রাজগঞ্জ কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী গুলোর। কারণে-অকারণে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে সকল পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধির পেয়েছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির এই ভার বহন করার ক্ষমতা অনেকেরর নেই। খুব কষ্ঠে ও সংকটে দিন-যাপন করছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। বাজারে এমন পরিস্থিতি যে, নিম্ন আয়ের মানুষের কপাল থেকে পুষ্টিকর ও সুসম খাদ্য, মাছ, মাংস উঠেই গেছে। এক শ্রেণির সুবিধাভোগী ও অধিক মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে বাজার আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে জানান সাধারণ ক্রেতারা।
এ কারণেই বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের যথাযথ তৎপরতা থাকা জরুরি বলে জানিয়েছেন তারা। সাধারণ ক্রেতারা বলেন- প্রথমেই বাজার কারসাজি বন্ধ করতে হবে। তারপর পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
যশোরের রাজগঞ্জ বাজারের কাঁচা বাজার, মাছ বাজার ও মুদি দোকানে ঘুরে দেখা গেছে- বাজারে চাল, আটা, ময়দা, ডিমসহ সকল নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশছোঁয়া। এসব পণ্য যেনো, ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিম্ন আয়ের মানুষের। এরপর শাক-সবজির দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। বেড়েছে মুরগি, মাছ ও মাংসের দামও।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে- এক সপ্তাহের ব্যবধানে শাক-সবজির দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। প্যাকেটজাত আটার কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। সয়াবিন তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা প্রতিকেজি দরে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা প্রতিকেজি। মসুর ডালের কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। এভাবে সকল নিত্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়েছে।
ইলিশ মাছের ভরা মৌসুমে, ইলিশ পাতে উঠছে না নিম্ন আয়ের মানুষের। রাজগঞ্জ বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। দেশি মাছ তো বাজারে নেই বললেই চলে। আর চাষকৃত বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দাম প্রতিকেজি ২০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে তার উপরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছও বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা প্রতিকেজি দরে।
অনেক ক্রেতা বলছেন- মাছ, মাংস আমাদের কপাল থেকে মনেহয় উঠে যাচ্ছে।
রাজগঞ্জ বাজারের পাইকারি সবজি বাজার ঘুরে দেখাগেছে- সব ধরণের সবজির দাম বেড়েছে। পাইকাররা বেশি দাম দিয়ে কিনে সবজিগুলো শহরে নিয়ে যাচ্ছে বিক্রির জন্য। ফলে এর প্রভাব তো রাজগঞ্জ খুচরা বাজারে পড়বেই।
এমন পরিস্থিতিতে- বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের তৎপরতা থাকা জরুরি বলে জানিয়েছেন রাজগঞ্জ এলাকার সচেতন সমাজ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]