সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে গত তিন ধরে পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমেছে স্থবিরতা। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন নিচু স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে শহরের অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আছে আমন ক্ষেত। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।
এদিকে, গভীর স্থল নিম্নচাপের কারণে উত্তাল রয়েছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়েছে সৈকতে। স্বাভাবিকের চেয়ে নদ-নদীর পানির উচ্চতা এবং বাতাসের তীব্রতাও অনেকটা বেড়েছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পটুয়াখালীর পায়রাসহ সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া মাছধরা ট্রলারসমূহ মহিপুর আলিপুর মৎস্য কেন্দ্রে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকাল থেকে ৬৫ ফুটের নিচে সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]