সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ী,বল্লি ও ঝাউডাঙ্গা ৩টি ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এখন নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন, ন্যাপকিন ব্যবহার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় এগিয়ে যাচ্ছে।
এসব ইউনিয়নে ঘুরে জানাযায়, দলিতের কর্ম এলাকা অনুসন্ধানকালে দেখা গেল যে প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবার অতি দরিদ্র। অন্যের ক্ষেতে খামারে মজুরী খেটে তাদের দিনাতিপাত করতে হয়। গ্রাম থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে ঝুড়ি ডালা বুনে অনেকেরই সংসার চালাতে হয়। গরীব শ্রমজীবী এসব মানুষের পক্ষে নিরাপদ পানি কিনে পান করা অত্যন্ত কষ্টকর। তাই অর্থের অভাবে অধিকাংশ পরিবার নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে পারে না। পাকা পায়খানা নির্মাণ করতে পারে না। এক সময় খোলা আকাশের নিচে বনে-বাদাড়ে ঝোপের আড়ালে, রাস্তার ধারে বসে তারা মলত্যাগ করতো কেউ কেউ আবার ৪ থেকে ৫টি রিং ¯øাব বসিয়ে তা বস্তা কিংবা কাপড় দিয়ে ঘিরে সেখানেই মলত্যাগ করতো নারী-পুরুষ ও শিশু সকলেই। এমনকি একটি পায়খানা ৩-৪টি পরিবার ব্যবহার করতো। মলত্যাগের পরে মানুষ মাটি বা ছাই দিয়ে হাত পরিস্কার করতো।
দলিত এনজিও ওয়াশ এসডিজির প্রকল্প ২০১৮ সাল থেকে সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী, বল্লি ও ঝাউডাঙ্গা ৩টি ইউনিয়নে ওয়াশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানার ব্যবহার,নারীদের মাসিক চলাকালীন সময়ে নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার , পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার কেন দরকার সে সম্পর্কে এলাকার দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছায়ে দিয়ে আসছে। লক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।
সদর উপজেলার এই ১৩টি গ্রামের ১৩টি পাড়ার দলিত জনগোষ্ঠীর ৭৩১টি পরিবারের মধ্যে ৮০ শতাংশ পরিবারের এখনো গভীর নলকুপের অভাব থাকলেও তারা নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবহার থেকে পিছিয়ে নেই। তারা বেশিভাগ মানুষ নিরাপদ পানি সংগ্রহ করে ও কিনে পান করে। স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবহার এখন প্রায় মানুষ করছে।দলিত ও প্রান্তিক মানুষ এখন সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে খাবার খায়। মহিলারা মাসিক এর সময় নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার করছে।
আগরদাড়ি ইউনিয়নের বাবুলিয়া ঋষিপাড়া, ইন্দ্রিরা কায়পুত্রপাড়া, চুপড়িয়া ঋষিপাড়া, রামেরডাঙ্গা ভগবেনেপাড়া ও কাশেমপুর হাজামপাড়ার প্রায় ২৫২টি পরিবারের নারী-শিশু মিলে প্রায় ১১৬০ জন মানুষের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন, মহিলারা মাসিক চলাকালীন সময়ে নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার, সাবান ব্যবহার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
বল্লী ইউনিয়নের কাঁঠালতলা ঋষিপাড়া, মুকুন্দপুর কারিকরপাড়া ও রায়পুর ভগবেনেপাড়ার ১৭৫টি পরিবারের প্রায় ৮৭৫ জন মানুষ নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া ঋষিপাড়া, বলাডাঙ্গা কারিকরপাড়া, মাধবকাঠি কলোনীপাড়া, আখড়াখোলা মোড়লপাড়া ও ওয়ারিয়া কায়পুত্র পাড়ার ৩০৪টি পরিবারের ১৫২০ জনের মধ্যে ৮০শতাংশ মানুষ অগভীর নলকূপের পানি ব্যবহার না করলেও নিরাপদ পানি সংগ্রহ করে ও কিনে ব্যবহার করে। ৩টি ইউনিয়নের ১৩টি পাড়ার যেসব অগভীর নলকূপ গুলো আছে সেগুলোর অধিকাংশই আর্সেনিকযুক্ত। এসব পাড়ার অনেকের আর্সেনিক ও আয়রনযুক্ত নলকূপ এখনো পাকা করা নাই। নলকূপের গোড়া ময়লা আবর্জনায় ভরা।
আগরদাড়ী ইউনিয়নের কাশেমপুর হাজামপাড়ার সেলিনা বেগম ও রফিকুল জানান, নিরাপদ পানির সমস্যা প্রকট এবং স্যানিটেশনের অবস্থা মোটামুটি ভালো। তাদের কাছ থেকে জানা গেছে যে,দলিত কর্মীদের মাধ্যমে সচেতন হওয়ার ফলে এরা ফিল্টারের পানি ক্রয় করে পান করে।
চুপড়িয়া রিশিপাড়ায়, কোন গভীর নলকুপ নাই। তারা দুর থেকে নিরাপদ পানি সংগ্রহ করে এবং কিচু সংখ্যক মানুষ পানি কিনে পান করে। কিন্তুু স্যানিটেশনের অবস্থা মোটামুটি ভালো। ৯৫% সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে খাবার খায়।এখানকার মহিলারা মাসিক চলাকালীন সময়ে সবাই নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার করছে।
বাবুলিয়া রিনা দাস, রামপ্রসাদ দাস, আশালতা দাস, দিপালী দাস, মঞ্জুরী দাস, কল্যানী দাস, সম্পা দাস জানান, এখানে দলিত ভিলেজ কমিটির সদস্য ৩০ জন। এই এলাকায় কোন গভীর নলকুপ নাই। কিন্তু এখানে ১০০% মানুষ নিরাপদ পানি পান করে। স্যানিটেশনের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো। সবাই সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে খাবার খায়। এখানকার মহিলারা মাসিক চলাকালীন সময়ে সবাই নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার করছে।
ইন্দ্রিরা কায়পুত্রপাড়ার সাধনা বিশ^াস, চন্দনা বিশ^াস জানান, এখানে দলিত ভিলেজ কমিটির সদস্য ৩০ জন। এই এলাকায় কোন গভীর নলকুপ ছিল না। বেশিভাগ মানুষ দুর থেকে পানি সংগ্রহ করে অথবা অনিরাপদ পানি পান করতো কিন্তুু স্যানিটেশনের অবস্থাও ভালো ছিল না। কেউ সাবান দিয়ে হাত ধৌত করত না।কিন্তু সরেজমিনে অনুসন্ধান কালে জানা যায় যে দলিত সংস্থার কর্মীরা তাদেরকে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসুচী বাস্তবায়নের ফলে দলিত ওয়াশ কমিটির সদস্যরা উদ্বুদ্ধ হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২ টি গভীর নলকুপ স্থাপন করে ফলে আগরদাড়ী ইউনিয়নের ইন্দিরা কায়পুত্র পাড়ার সকল দলিত ও প্রান্তিক ও জনগোষ্ঠীর মানুষরা এখন ১০০% নিরাপদ পানি পান করে,স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার করে ।মানুষ সচেতন হয়েছে মহিলারা মাসিকের সময়ে সবাই নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার করছে ,সকলে খাবার আগে সাবানের ব্যবহার নিশ্চিত করছে। দলিত এনজিওর উদ্যোগে মানুষ এখন এসব বিষয়ে সচেতন হয়েছে। সবাই এখন প্রাকটিশ লেবেলে আসছে।
রামেরডাঙ্গা ভবেনেপাড়ার এলাকা একই অবস্থা। তারা এসব কথা তুলে ধরেন।কিন্তু এদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে । নিরাপদ পানি পান করে,স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার করে ।মানুষ সচেতন হয়েছে মহিলারা মাসিকের সময়ে সবাই নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার করছে ,সকলে খাবার আগে সাবানের ব্যবহার নিশ্চিত করছে। দলিত এনজিওর উদ্যোগে মানুষ এখন এসব বিষয়ে সচেতন হয়েছে। সবাই এখন প্রাকটিশ লেবেলে এসেছে।
বল্লী ইউনিয়নের মকন্দপুর জেসমিন ও রোকছানা জানান, এখানে দলিত ভিলেজ কমিটির সদস্য ৩০ জন। এই এলাকায় কোন গভীর নলকুপ নাই। তবে বেশিভাগ দুর থেকে পানি সংগ্রহ করে এবং নিরাপদ পানি কিনে পান করতে হয়। কিন্তুু স্যানিটেশনের অবস্থা মোটামুটি ভালো। সবাই সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে।মাসিকের সময় মহিলারা সবাই নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার করে।
কাঠালতলার সন্ধা রাণী দাস ও মনিমালা জানান, এখানে দলিত ভিলেজ কমিটির সদস্য ৩০ জন। এই এলাকায় কোন গভীর নলকুপ নাই। এখানকার পানি বেশিভাগ আর্সোনিকযুক্ত। তবে বেশিভাগ দুর থেকে পানি সংগ্রহ করে এবং নিরাপদ পানি কিনে পান করতে হয়। কিন্তুু স্যানিটেশনের অবস্থা মোটামুটি ভালো। সবাই সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে। মাসিকের সময় মহিলারা সবাই নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার করে।
রায়পুর ভগবেনেপাড়ার রোজিনা, আরোতী ও মমতা জানান, এখানে দলিত ভিলেজ কমিটির সদস্য ৩০ জন। এই এলাকায় কোন গভীর নলকুপ নাই। এখানকার মানুষ সবাই অনিরাপদ পানি পান করত ।ইউনিয়ন পরিষদ আরতী রানরি বাড়ী একটি পানির ফিল্টার দেওয়ার প
ফলে এখানকার মানুষ সবাই নিরাপদ পানি পান করছে করছে। স্যানিটেশনের অবস্থা মোটামুটি ভালো। সবাই সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে খাবার খায়। মাসিকের সময় মহিলারা সবাই নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার করছে।
ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া ঋষিপাড়ার সুমন দাস, সাধন দাস, রাধারানী ও আরোতী রানী জানান, এখানে দলিত ভিলেজ কমিটির সদস্য ৩০ জন। এই এলাকায় কোন গভীর নলকুপ নাই। এখানকার মানুষ সবাই ফিল্টারের পানি পান করে। স্যানিটেশনের অবস্থার আরো ভালো অবস্থানে আনতে হবে। সবাই সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে খাবার খায়। মহিলারা সবাই নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার করে।
মাধবকাঠি কলোনীপাড়ার তহমিনা খাতুন, শাহানারা খাতুন ও সাবিনা বেগম জানান, এখানে দলিত ভিলেজ কমিটির সদস্য ৩০ জন। এখানকার মানুষ দুর থেকে নিরাপদ পানি নিয়ে পান করে এবং অনেকেরই নিরাপদ পানি কিনে পান করতে হয়। কিন্তুু স্যানিটেশনের অবস্থা ভালো। সবাই সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে খাবার খায়। মহিলারা সবাই নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহার করে।
বলাডাঙ্গার কারিকরপাড়ার মাশকুরা, পারুল, রন্তা, জামিলা ও মোসলেমা জানান, এখানে দলিত ভিলেজ কমিটির সদস্য ৩০ জন। এই এলাকায় কোন গভীর নলকুপ নেই। এখানকার মানুষ দুর থেকে নিরাপদ পানি নিয়ে ব্যবহার এবং নিরাপদ পানি অনেকে কিনে পান করতে হয়। কিন্তুু স্যানিটেশনের অবস্থা মোটামুটি ভালো। সবাই সাবান দিয়ে হাত ধই। মহিলারা সবাই ন্যাপকিন ব্যবহার করে।
ওয়ারীয়ার কায়পুত্র পাড়ার কাজল, মিনতী, সুচিত্রা, পাননা ও রুপা জানান, এখানে দলিত ভিলেজ কমিটির সদস্য ৩০ জন। এই এলাকায় কোন গভীর নলকুপ নেই। এখানকার মানুষ দুর থেকে নিরাপদ পানি নিয়ে পান করে এবং অনেকে নিরাপদ পানি কিনে পান করতে হয়। কিন্তুু স্যানিটেশনের অবস্থা মোটামুটি ভালো। সবাই সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে খাবার খায়। মহিলারা সবাই ন্যাপকিন ব্যবহার করে।
আখড়াখোলার নারগিজ নাহার, রুপা, আঁখি জানান, এখানে দলিত ভিলেজ কমিটির সদস্য ৩০ জন। এই এলাকায় কোন গভীর নলকুপ নেই। এখানকার মানুষ দুর থেকে নিরাপদ পানি নিয়ে পান করে এবং অনেকে নিরাপদ পানি কিনে পান করতে হয়। কিন্তুু স্যানিটেশনের অবস্থা মোটামুটি ভালো। সবাই সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে। মহিলারা সবাই ন্যাপকিন ব্যবহার করে।
আগরদাড়ী, বল্লী ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের এসব মানুষ আরো জানান, যেসব স্থানে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নেই সেই সব স্থানে জরুরী ভিত্তিতে নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের পাড়াতে যাওয়ার রাস্তা পর্যন্ত নেই। এই পাড়ার মানুষ সবচেয়ে হতদরিদ্র । তারা অনেক কষ্ট করে প্রান বাচানোর তাগিদে ফিল্টারের পানি ক্রয় করে পান করছে। কেউবা অনেক দুর থেকে গভীর নলকুপের পানি সংগ্রহ করে পান করছে। কিন্তুু পায়খানার অবস্থা বেশী একটা সন্তোষজনক নয়। এই শ্রেনীর মানুষদের উন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কোন ক্রমেই সম্ভব নয়।
দলিত এনজিওর সচেতনতার কারনে এখানকার মানুষগুলোও অনেক কষ্টকরে দুর থেকে পানি সংগ্রহ করে এবং ফিল্টারের পানি ক্রয় করে পান করছে। মানুষের দাবী সরকারের যারা সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন তারা যেন অত্র এলাকায় গভীর নলকুপ স্থাপনের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেন এটা সময়ের দাবী। তা না হলে ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
দলিত এনজিও ওয়াশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রচার প্রচারনায় দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তারা এখন নিরাপদ পানি পান করাসহ স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ পায়খানা ব্যবহার, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও সাবান দিয়ে হাতধোয়ার অভ্যাসও গড়ে উঠেছে। এছাড়াও দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সংবেদনশীতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধির অংশগ্রহনে শীর্ষ কর্মশালা প্রশিক্ষন কাজ করছেন। এখন সবচেয়ে যেটা বেশী আলোচিত সেটা হলো করোনা মহামারী কোভিড ১৯। এটা নিয়েও দলিত এনজিও প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রেখেছেন।
এই তিন ইউনিয়ন ছাড়াও অন্যন্যা ইউনিয়ন গুলোতে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা খুবই নাজুক অবস্থা। তাই এই তিন ইউনিয়ন ছাড়াও অন্যন্যা ইউনিয়ন গুলোতে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপরে দলিত ওয়াশ এসডিজি কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
সদর উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সহকারী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান ২০২১-২২ অর্থ বছরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী তত্বাবধানে ৩টি ইউনিয়নে ২০৭ টি নিরাপদ পানি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে। আগরদাড়ী ৭০টি, বল্লী ৬৯টি ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে ৬৯টি নিরাপদ পানির নলকুপ স্থাপন করা হয়। তবে আমরা প্রত্যেক ইউনিয়নে ৯০ ভাগ নিরাপদ পানি ব্যবস্থা করেছি।যেস্থানে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নেই সেখানে পাইপ লাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে নিশিত করেন । সরকারকে আরো আন্তরিক হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর সবিনয় অনুরোধ করছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]