মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরা ঝাঁপা বাঁওড় পাড়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয় অংশে নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু মিনি পর্যটন কেন্দ্র। আধুনিক ডিজাইনে সাজানো হবে এপর্যটন কেন্দ্রটি। এই পর্যটন কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বার বার রাজগঞ্জে এসেছেন এবং জায়গা দেখে-শুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন, রাজগঞ্জ বাজার উন্নয়ন (পরিচালনা) কমিটির সাধারণ সম্পাদক, রাজগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ ও রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদ কামাল তুষারের ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টা, পরিকল্পনা ও দায়িত্বে রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অংশে, বাঁওড় পাড়ের নির্ধারিত জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি।
এ পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য, তার মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বরাদ্দ করেছেন। রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু মিনি পর্যটন কেন্দ্রের কাজ এখন চলমান রয়েছে এবং এই পর্যটন কেন্দ্রে ও ঝাঁপা বাঁওড়ে আসা দর্শনার্থীদের পিপাসু মেটাতে ১টি প্রমোদ তরিও (স্প্রীড বোড) দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এই প্রমোদ তরিটি উদ্বোধন করেছেন। বর্তমান স্প্রীড বোডটিতে চড়ে দুর-দুরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা বাঁওড়ে ভ্রমণ করে এবং বাঁওড়ের দু'পাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন। নির্মাণাধীন পর্যটন কেন্দ্রে রাতের সৌন্দর্য্য ফুটাতে সরকারিভাবে ১০টি সোলার স্ট্রীট লাইট বসানো হবে বলে জানাগেছে। ইতোমধ্যে সেখানে ৪টি লাইট বসানো হয়েছে। সেই ৪টি লাইট সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত আলো ছড়াচ্ছে এবং আরো ৬টি লাইট খুব দ্রুত সময়ে বসানো হবে।
সরেজমিনে দেখাগেছে- প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত এই পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থী আসে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য দেখতে ও প্রাকৃতিক হাওয়া খেতে। ঝাঁপা বাঁওড়ের উন্মুক্ত হিমেল বাতাশ দর্শনার্থীদের প্রশান্তি দেয়। দর্শনার্থীরাও এই বাতাশ থেকে বঞ্চিত হতে চাই না। তাই ছুটে চলে আসে রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু মিনি পর্যটন কেন্দ্রে। পড়ন্ত বিকালে সূর্য যখন ডুবতে থাকে। তখন কোয়াকাটার স্বাদ উপভোগ করা যায় এই বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্রে দাড়িয়ে। দেখাযায় সেই কোয়াকাটার দৃশ্য।
জানাগেছে- এই পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে এখানে নির্মাণ করা হবে একটি ছোট রেষ্টহাউজও। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রামকে শহর করার উদ্যোগ রাজগঞ্জে বাস্তবায়িত হচ্ছে পর্যায়ক্রমে। প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের নেক-নজরে পড়েছে রাজগঞ্জ। পশ্চিম মণিরামপুর তথা রাজগঞ্জ অঞ্চলের প্রতিমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও বিশ্বাস্থ অধ্যক্ষ মো. আব্দুল লতিফের পরিকল্পনায় রাজগঞ্জকে আলোকিত রাজগঞ্জ করছে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। দীর্ঘদিনের উন্নয়ন বঞ্চিত, অবহেলিত রাজগঞ্জ বাজারকে উন্নয়নের ছোয়াই মোড়ানো হবে।
রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদ কামাল তুষার দৈনিক যশোরকে বলেন- রাজগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের মহানায়ক প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এবং আমার স্যার, মো. আব্দুল লফিত মহোদয়ের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। তাদের সু-দৃষ্টিতে রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আজ উন্নয়নের মুখ দেখছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]