বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার শিরশ্ছেদ করলে নিজের বাড়ি উপহার দেবেন মন্তব্য করে গ্রেপ্তার হয়েছেন আজমীর শরীফ দরগার এক খাদেম।
এক ভিডিওতে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে সোমবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়, এরপর থেকেই তাকে খুঁজতে শুরু করে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের্ পুলিশ।
এরপর তারা বুধবার সালমান চিশতী নামের ওই খাদেমকে গ্রেপ্তার করে, জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
সম্প্রতি মহানবীকে (সা.) নিয়ে নূপুর শর্মার বিরূপ মন্তব্য ভারতজুড়ে প্রতিবাদের কারণ হয়। পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো এর নিন্দা করে নূপুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, এর জেরে বিজেপির মুখপাত্রের পদ থেকে শর্মাকে বহিষ্কার করা হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ভিডিওতে সালমান চিশতীকে বলতে শুনা যায়, যে নূপুর শর্মার মাথাতার কাছে নিয়ে যাবে,তাকে সে তার বাড়ি উপহার দেবে। নবীকে অবমাননা করায় তিনি নূপুরকে গুলি করে মেরে ফেলতেন বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় তাকে।
তবে এনডিটিভি ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
“সব মুসলিম দেশকে তোমার জবাব দিতে হবে। আমি রাজস্থানের আজমির থেকে বলছি এবং এটি হুজুর খাজা বাবার দরবার থেকে দেওয়া বার্তা,” ভিডিওতে বলেন সালমান।
সালমানের বিরুদ্ধে একটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড রয়েছে বলে দলভীর সিং নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন।
আজমীর শরীফ দরগাহ দেওয়ান জয়নুল আবেদিন আলি খানের দপ্তর ভিডিওটির নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এ মাজার একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির স্থান, ভিডিওতে খাদেম যা বলেছেন তা দরগাহর বার্তা হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না।
ওই ভিডিওর বক্তব্য এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত মন্তব্য আর তা ‘খুব নিন্দনীয়’ বলে বিবৃতিতে বলেছে তারা।
মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির জেরে সম্প্রতি রাজস্থানের উদয়পুরে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী দর্জিকে হত্যা করে দুই মুসলিম ব্যক্তি। কানহাইয়া লাল তেলি নামের ওই দর্জি নূপুর শর্মার মন্তব্যকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওই দুই খুনির। খুনিরা এ হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও অনলাইনে আপলোড করে। এতে পুরো রাজস্থানজুড়ে ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর আরেকটি ভিডিওতে তারা এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে এবং ভারী ছুরি প্রদর্শন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুমকি দেয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হলে পুলিশের গুলিতে অন্তত একজন নিহত হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]