নড়াইলের মধুমতি নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করলেন, এমপি মাশরাফী
নড়াইলের মধুমতি নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করলেন এমপি মাশরাফী। নড়াইলের লোহাগড়ায় বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯ টায় সূর্যের আলো যখন আলোকিত করতে শুরু করেছে সমগ্র জনপদকে তখনি আলোকবর্তিকার মতো নদী ভাঙনে দুঃখে থাকা মানুষের মনে আশার আলো জ্বালাতে হাজির জনতার এমপি, মানবিক সাংসদ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। দীর্ঘ ২৪ দিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সময়কালে বিশ্রাম নেওয়ার কথা থাকলেও নড়াইলে এসে তিনি একবিন্দুও বসে নেই। সবসময় নড়াইলের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। মল্লিকপুর ইউনিয়নে নদী ভাঙন হচ্ছে এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই সেইসকল স্থানে সশরীরে উপস্থিত তিনি।
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের মহিষাপাড়া ও করফা-আতশপাড়া এলাকার ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকায় ভাঙন চলছে। গত কয়েক বছরে বহু বসতবাড়ি,ফসলি জমি,লোহাগড়া-ইতনা সংযোগ সড়কের নদী তীরবর্তী অংশ, মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়,প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, বাজার, দোকান-পাট নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।বর্ষাকালে মঙ্গলহাটা, করফা, মহিশাপাড়া গ্রামের মানুষের স্বপ্নগুলো ডুবিয়ে নেয় মধুমতির তীব্র স্রোত।
এসময় মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সাথে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য যোগদানকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল সেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্র।
মাননীয় সংসদ সদস্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তাঁর নির্বাচনী এলাকার নদী ভাঙন সমস্যা সমাধানে তিনি কাজ করছেন বলেও জানান। এমনকি মহিশাপাড়া ও করফা-আতশপাড়া পয়েন্টে দ্রুতগতিতে আপদকালীন কাজ ও স্থায়ী ভাঙন রোধী কাজ শুরু করার কথা জানান।এসময় উপস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল সেন সরেজমিনে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করার তথ্য সংগ্রহ করেন। এছাড়া,সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে লোহাগড়ার আমডাঙ্গা, মাকড়াইলসহ উপজেলার ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে দ্রুত গতিতে প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কাজ শুরু করার কথা জানান। উল্লেখ্য,বাংলাদেশের তীব্র ভাঙন কবলিত জেলার তালিকায় খুলনা বিভাগে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা ও কুষ্টিয়ার নাম থাকলেও সবচেয়ে বেশি ভাঙন হলেও নড়াইল জেলার নাম ছিল না। মাননীয় সংসদ সদস্যের প্রচেষ্টায় গতবছর নড়াইল জেলার নাম ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে এটি নড়াইলের মানুষের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি, যার ফলে ভাঙন রোধে নড়াইলে টেকসই কাজ হওয়া।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)