নড়াইলের প্রাচীন স্থাপনা রাণী রাশমণি এস্টেটের কাচারি বাড়ি হতে পারে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র। নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার অন্তর্গত জয়নগর ইউনিয়নের নড়াগাতি নামক গ্রামে রয়েছে রাণী রাশমণি এস্টেটের কাচারি।
কালিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলােমিটার পূর্ব দিকে নড়াগাতি নামক গ্রামের অবস্থান।
এ গ্রামের নড়াগাতি বাজারের সাথে লাগােয়া দক্ষিণ দিকে নড়াগাতি–বাঐসােনা পাকা সড়কের পশ্চিম পাশে রাণী রাশমনি এস্টেটের কাচারি বাড়ির অবস্থান।
জানা যায় যে, ব্রিটিশ আমলে কলকাতায় রাণী রাশমণি নামে একজন জমিদার ছিলেন। তিনি তৎকালীন মকিমপুর (বর্তমান রাধানগর) পরগণার মালিক ছিলেন । নড়াগাতিতে রাণী রাসমণি এস্টেটের একটি প্রাচীন কাচারিবাড়ি আছে।
জনশ্রুতি আছে, রাণী রাসমণি তাঁর জমিদারি মকিমপুর থেকে কালিয়ার নড়াগাতিতেও বিস্তার করেন। নড়াগতি বাজার সংলগ্নে অবস্থিত প্রাচীন কাচারি বাড়িটি রাণী রাশমণি এস্টেটের কাচারি বাড়ি হিসেবে স্থানীয় লােকজনের কাছে সুপরিচিত।
এটিকে আবার অমৃতনগর জমিদারির কাচারী নামে অনেকে উল্লেখ করেন। রাণী রাশমণি এস্টেটের কাচারি বাড়ির মাঝখানে একতলা বিশিষ্ট ১ টি ভবন রয়েছে । কাচারি ঘর হিসেবে পরিচিত এ ভবন থেকে প্রায় ৬.৫ মিটার পূর্ব দিকে ১ টি কালী মন্দির , প্রায় ৯ মিটার দক্ষিণ দিকে ধ্বংসাবশেষের ১ টি টিবি এবং প্রায় ৩৫ মিটার উত্তর–পূর্ব দিকে একটি প্রাচীন পুকুর রয়েছে।
এ কাচারি বাড়ির দক্ষিণাংশে বিদ্যমান ধ্বংসাবশেষের ঢিবিটি রয়েছে। ঢিবিটির আয়তন প্রায় ৪৫০ বর্গ মিটার। এ ঢিবিটি পার্শ্ববর্তী সমতল ভূমি থেকে প্রায় ১ মিটার উঁচু। সম্ভবত এ ধ্বংসাবশেষের ঢিবিটি তৎকালে নীলকরদের নীল প্রক্রিয়াজাতকরণের স্থান বা নীল জাগের হাউজ ছিল।
এ স্থানে প্রায় ৬০ সে.মি. পুরু দেয়ালের অংশবিশেষ দেখা যায়। তাই স্থানীয় লোকজনের দাবী নড়াইল জেলায় কালিয়া উপজেলার প্রাচীন স্থাপনাটি অর্থাৎ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনাগুলিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘােষণা করে সংরক্ষণ ও সংস্কার করা হলে পর্যটকদের কাছে হতে পারে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : kalaroanews33@gmail.com