মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

নড়াইলে এতিম শিশুদের নিয়ে খেজুর রসের পিঠা উৎসব

এই শীতকে উপভোগ্য করতে নড়াইলে দেড় শতাধিক এতিম শিশুদের নিয়ে আয়োজন করা হলো আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর রসের পিঠা উৎসব।

এই উৎসবকে ঘিরে মা বাবা হারা এসব এতিম শিশুদের যেন আনন্দের শেষ ছিলো না। নিজেদের হাতে তৈরি পিঠা ভাগাভাগি করে খেয়েছেন তারা। এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। সম্প্রতি ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজন করা হয়।

নড়াইল সদর উপজেলার সীমানন্দপুর গ্রামে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ আজিজুর রহমান বালিকা সমাজ সেবা এতিমখানা’।

এই এতিমখানায় দুই শতাধিক এতিম শিশুদের বসবাস। সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত এতিম সদস্যের সংখ্যা ১৪০ জন। মা বাবা হারা এসব এতিম শিশুদের কষ্ট লাঘবে আয়োজন করা হয় খেজুর রসে ভেজানো পিঠা উৎসব। এই প্রতিষ্ঠানের মেয়েরা নিজেরাই চাউল দিয়ে গুড়া তৈরি করে, খেজুর রস জ¦ালিয়ে পিঠা তৈরি করেছে। সবাই মিলে এক লাইনে বসে তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে। এ যেন ভালবাসার একটি বড় পরিবার।

এতিমখানার নিবাসী মদিনা খানম, মাহমুদা খানম, নাঈমা সুলতানা, রূপালী খানম, সুমাইয়া, শান্তা, সাদিয়া, মাসুরা, জাকিয়া, কুলসম, লাবনীসহ একাধিক নিবাসী বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন এলাকার বোনেরা সবাই একসাথে এতিম খানায় বাস করি। আমাদের কারও মা আবার কারও আব্বা নেই। বাড়িতের আর্থিক অবস্থাও ভাল না। আমাদেরকে এই শীতে খেজুর রসের পিঠা খাওয়ানোতে খুব খুশি হয়েছি। অন্যান্য সময়ে বিভিন্ন ফল খাওয়ানো হয়। কিছুদিন আগে আমাদের চিতই পিঠা খাওয়ানো হয়েছিলো। আমরা নিজেরা আতপ চাউল থেকে গুড়া তৈরি করেছি। খেজুর রস জ্বালিয়ে গাড়ো করে তার মধ্যে পিঠা ভিজিয়ে ভিজা পিঠা তৈরি করেছি। আমরা এক লাইনে বসে এক সাথে খেয়েছি। মাঝে মধ্যে অনেক স্যাররা এসে আমাদের মিষ্টি খাওয়ান। আবার ভাত-মাংস খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। আমরা সবাই মিলে-মিশে থাকার কারনে মা বাবার কষ্ট ভুলে থাকতে পারি। আমাদের এখানের স্যাররাও আমাদের খুব ভালবাসেন।’

এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‘নড়াইল সহ দেশের বিভিন্ন জেলার শিশুরা এই এতিম খানায় বসবাস করে। এখানে দুই শতাধিক মেয়ে রয়েছে। আমরা ১৪০জন এতিম শিশুর জন্য সরকারী অনুদান পেয়ে থাকি। এখানে বসবাসরত শিশুরা আমাদের সন্তান। এদের কারও মা নেই। আবার কারও বাবা নেই। অনেকের বাবা মা কেউ নেই। বাড়ির আর্থিক অবস্থাও ভাল না। তাই তাদের চাহিদা আমরা পূরণ করার চেষ্টা করি। ওরা যাতে কষ্ট না পায় সেজন্যই খেজুর রসের ভিজা পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে আগে চিতই পিঠার উৎসব করা হয়। এতে আমার খুব ভাল লাগে। এছাড়া মৌসুম অনুযায়ী ফল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। এসব নিবাসীরা বয়স ভেদে প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে অধ্যায়ন করে।’

এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা চন্ডিবরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ভূইয়া বলেন, ‘বর্তমান দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতির কারনে খরচ বহন করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাকি সব এতিমদের ভরণ-পোষণ বিত্তবানদের সহযোগিতায় চলে। এতিম শিশুদের লালন-পালন ও জীবনমান উন্নয়নে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’

একই রকম সংবাদ সমূহ

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করলে আবারও রাজপথে নামবো : রংপুরে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কেউবিস্তারিত পড়ুন

আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপীবিস্তারিত পড়ুন

  • জুলাই যোদ্ধাদের স্যালুট জানালেন আসিফ আকবর
  • সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
  • সরকারি অফিসে পার্টটাইম চাকরি দিতে চাই শিক্ষার্থীদের: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
  • আবু সাঈদ হত্যা : অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক ২৬ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ
  • এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার: কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে বেনাপোল বন্দরে
  • ভুয়া মামলার হয়রানি রোধে নতুন বিধি: আইন উপদেষ্টা
  • আমরা কেউ পূর্বের অবস্থায় ফিরতে চাই না: আলী রীয়াজ
  • ইমাম-খতিবদের সুখবর দিলেন ধর্ম উপদেষ্টা
  • মনিরামপুরে মাটিচাপা দেয়া ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার
  • ভারতে যাওয়ার সময় নেত্রকোনার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেনাপোলে আটক
  • খুঁটির জোর যাই হোক, তাকে কোনোভাবেই পাত্তা দেয়া যাবে না
  • কলারোয়ার ধানদিয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠে ফাইনাল খেলায় সরসকাটি জয়ী