নড়াইলের সদর উপজেলার ৫ নং শাহাবাদ ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডের নয়নপুরের সঞ্জয়ের বাড়ির পাশে পাকা রাস্তা হইতে বিশ্বনাথের বাড়ি পর্যন্ত ইটের ফ্লাট সলিং এর কাজে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ না করেই চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্না নিজেই সভাপতি সেজে সেই অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে প্রকাশ।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিখা প্রকল্পের আওতায় নন সোলার খাতে শাহাবাদ ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডের নয়নপুরের সঞ্জয়ের বাড়ির পাশে পাকা রাস্তা হইতে বিশ্বনাথের বাড়ি পর্যন্ত ইটের ফ্লাট সলিং রাস্তা উন্নয়ন বাবদ ১০ মে. টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়।
নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা’র প্রচেষ্টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে ১০ মে. টন গম বরাদ্দ দেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তা দেখিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বরাদ্দকৃত সমুদয় গম উত্তোলন করা হলেও রাস্তার কাজ না করে বরাদ্দের পুরোটাই পকেটে পুরেছেন চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্না।
এব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ডের ছিদ্দিক মেম্বার বলেন, চেয়ারম্যান লোক দিয়ে নিম্নমানে ইট ব্যবহার করে রাস্তার কাজ করতে গেলে তাতে আমি বাধা দেই, রাস্তার কাজ বন্ধ শুনে চেয়ারম্যান আমাকে ফোনে বলে, যে কাকা কাজ আমি নিজে করছি এবিষয়ে আপনি বাঁধা দিয়েন না। পরে বিশ্বনাথের বাড়ির সামনে নিম্নমানে ইট ব্যাবহার করে বিশ ফুট পরিমান রাস্তার কাজ করেন, বাকি কাজ আর করেন নাই।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের (পিআইসি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্না বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমপি সাহেবের বরাদ্দের সম্পূর্ণ অর্থ আমি রাস্তার উন্নয়নে ব্যয় করেছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]