কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক গৃহবধু (২১)কে জোর করে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করবার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকালে ওই নারী বন্ধিদশা থেতে মুক্ত হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার তেলকাড়া গ্রামে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর কোটাকোল ইউনিয়নের তেলকাড়া গ্রামের এক ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে মহাজন বাজার থেকে বিকাল ৫টার দিকে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তেলকাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা তেলকাড়া গ্রামের আলম চৌধুরীর ছেলে মাসুদ চৌধুরী, মৃত দুলাল খানের ছেলে তরুন খান, শাবু খানের ছেলে শামিম খান, মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের টুটুলের ছেলে মিল্টন জোরপূর্বক মুখ বেঁধে মোটরসাইকেলযোগে তুলে নিয়ে অপরিচিত একটি বাড়িতে নিয়ে ওই গৃহবধুকে আটকিয়ে রাখে। এসময় তারা গৃহবধুকে শারীরিক নির্যাতনসহ মারপিট করে। এঘটনায় গৃহবধুর স্বামী লোহাগড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরে বাড়ি ফিরিয়ে দেবার আশ^াস দিয়ে গত ৪ অক্টোবর বিকাল ৪টার দিকে লক্ষীপাশা- মহাজন সড়কে আরো ৪জন সাংবাদিক ও পুলিশ পরিচয়দানকারী ব্যাক্তি ভয়ভীতি দেখিয়ে গৃহবধুকে ক্যামেরার সামনে বলতে বাধ্য করে যে, আমি এবং আমার স্বামী মাদকের ব্যবসাসহ দেহ ব্যবসা করি। এমনকি বলতে বাধ্য করে যে, আমার স্বামী থানায় যে অভিযোগ দিয়েছে তা মিথ্যা।
ওই গৃহবধু আরো জানান, এরপর সন্ত্রাসীরা পুনরায় আমাকে অন্য একটি অপরিচিত বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে তারা আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় তারা জোরপূর্বক আমার শ্লীলতাহানী সহ মারপিট করে জখম করে। পরে সন্ত্রাসীরা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আমাকে চিকিৎসা দিয়ে মঙ্গলবার(৬ অক্টোবর) সকাল ৯ টার দিকে মহাজন বাজার পাশর্^বতী ফাঁকা রাস্তায় ছেড়ে দেয়। তারা আমাকে শাসায় যে, পুলিশকে জানালে তোকে মেরে ফেলবো। এর পর থেকেই আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাকে নির্যাতন করবার বিচার চাই।
অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ নিয়ে আসতে বলেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]