প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নে বিল্লাল হোসেন ভূইয়ার অবৈধ ইট ভাটা। এই ভাটা উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। একটি লিখিত অভিযোগের নথি সুত্রে যানা গেছে, দত্তপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০গজ দূরে দক্ষিণ পাশ্বে অবস্থিত বিল্লালের ইটভাটা। যার নাম করন করা হয়েছে (মেসার্স বি,এন্ড কে,ব্রিক্স)। ক্ষমতা ও টাকার জোড়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তার এই ইট ভাটা। পরিবেশের ছাড় পত্র ছাড়ায় অবাধে চলছে ইট ভাটা।
ইট ভাটার সন্নিকটে রয়েছে দত্তপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,দত্তপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,দত্তপাড়া বাসষ্ট্যান্ড মসজিদ, দত্তপাড়া বাজার,যেখানে রয়েছে শতশত দোকান।এই অবৈধ ইট ভাটার পরিবেশ দূষনে অতিষ্ট হয়ে এলাকাবাসী সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ জানায়, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালত এসে অভিযান চালিয়ে ইট ভাটাকে জরিমানাও করেছেন। তবুও থামছেনা বিল্লালের অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম।ঘন বসতীপূর্ণ এলাকায় ইট ভাটা তৈরী করা বা পরিচালন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।তবুও টাকা ও পেশিশক্তির জোড়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে লোকালয়ে ভাটা চালাচ্ছেন বিল্লাল।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাক্তি জানান,ইটভাটা চালানোর কারনে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, ধূলোয় বাড়িঘরে থাকার উপায় নাই,বিশেষ করে বাচ্চারা শ্বাস কষ্ট সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে,বিকট শব্দে সারাদিন নসিমন করিমন ঢুকছে ভাটায়,এতে স্কুলের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে। ফসলী জমির উপড়ের স্তরের মাটি কেটে ব্যবহার হচ্ছে এই ভাটায়,এতে এই এলাকার ফসল উৎপাদন আশংকাজনক ভাবে কমেগেছে। আগেরমত আর ফসল পাওয়া যায়না জমিতে।
এই এলাকার যত ফলের গাছ ছিল তাতে আর আগের মত ফল ধরেনা।নারিকেল গাছগুলো নারকেল শুন্য হয়ে পড়েছে।এত সমস্যা হওয়ার পরেও মুখ খুলতে পারছেনা এলাকার জনসাধারন। মুখ খুললেই নেমে আসে বিল্লাল বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন।তাই এলাকাবাসীর দাবী অতিদ্রুত বিল্লালের এই অবৈধ ইট ভাটা এখান থেকে শরীয়ে নেয়াহোক।না হয় বন্ধ করে দেওয়া হোক।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]