নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার খলিশাখালি গ্রামের মাতুব্বর জলিল মোল্যার হাত-পা বিচ্ছিন্ন’র ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নৃশংসতার শিকার জলিলের স্ত্রী আম্বিয়া বেগম বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত কোন আসামী আটক করতে পারেনি।
আসামীরা হলো, সাহিদ কাজী, মশিয়ার শেখ, ফয়সাল তালুকদার, সজিব শেখ, সোহেল কাজী, বাকা তালুকদার, মফিজ তালুকদার, লাবলু কাজী, আলম শেখ, মিজান কাজী,ইমন, ইমরান তালুকদার, আমিনুর তালুকদার, আশিক তালুকদার, নাঈম কাজী, আরমান হাওলাদার, আলমগীর তালুকদার ও আনিচ কাজী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, লোহাগড়া পৌরসভার খলিশাখালি গ্রামে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে জলিল মোল্যা সমর্থিত লোকজনের সঙ্গে একই গ্রামের সাহিদ কাজি সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ-সংঘাত চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২৭ জুলাই (সোমবার) সকাল সাড়ে ৬ টায় জলিল মোল্যা বাড়ী থেকে বের হয়ে মাঠে যাওয়ার পথে ওই গ্রামের মাদ্রাসার পূর্ব পাশে ওদুদ শেখের বাড়ির নিকট পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সাহিদ কাজির নেতৃত্বে মশিয়ার শেখ, ফয়সাল তালুকদার, সজিব শেখ, সোহেল কাজী, বাকা তালুকদার, মফিজ তালুকদার, লাবলু কাজী, আলম শেখ, মিজান কাজী,ইমন, ইমরান তালুকদার, আমিনুর তালুকদার, আশিক তালুকদার, নাঈম কাজী, আরমান হাওলাদার, আলমগীর তালুকদার ও আনিচ কাজীসহ একদল দূর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র ছ্যানদা, চাইনিজ কুড়াল, রামদা,চাপাতি নিয়ে জলিলের গতি পথ রোধ করে।
এর পর দূর্বৃত্তরা জলিলকে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে এবং তার শরীর থেকে ডান হাত ও বাম পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিকালে যশোরের একটি বেসরকারী পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি ওই পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে, লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সম্ভাব্য সহিংসতারোধ কল্পে ওই গ্রামের রেশমা খাতুন, রজিনা বেগম, রুবিনা বেগম, লতিফা বেগমকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই সাইফুল বলেন, শুক্রবার (৩১ জুলাই) ১৮ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মাতুব্বর জলিলের ওপর হামলাকারীরা গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]