নড়াইলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন রিমান্ডে। নড়াইলের দিঘলিয়ায় মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তির অভিযোগে সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এস আই মাকফুর রহমানের গ্রেফতারকৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ৭দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে লোহাগড়া আমলি আদালতের বিচারক মোরশেদুল আলম তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ রিমান্ড আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে।
যেসব আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন লোহাগড়ার দিঘলিয়া ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্রামের ইসহাক মৃধার ছেলে রাসেল মৃধা (৩৮), লুটিয়া নরসিংগাপুর গ্রামের কবির গাজী (৪০), তালবাড়িয়া গ্রামের আমিন উদ্দিন শেখের ছেলে সাইদ শেখ (২৫), বাটিকাবাড়ি গ্রামের বারিক শেখের ছেলে রেজাউল শেখ (৪০) এবং বয়রা গ্রামের সাদেকুর রহমান মোল্যার ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৩২)।
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন জানান, প্রথম দুজনকে ১৭ জুলাই এবং পরের তিনজনকে সোমবার (১৮ জুলাই) গ্রেফতার করা হয়। লোহাগড়া থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে রোববার (১৭জুলাই) বিকেলে বাড়ি ও মন্দির ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ইতোপূর্বে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তির অভিযোগে ১৫ জুলাই রাতে দীঘলিয়া গ্রামের কচি সরদার বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় দিঘলিয়া সাহা পাড়ার বাসিন্দা কলেজ ছাত্র আকাশ সাহার নামে একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার রাতে খুলনা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার আদালত আকাশ সাহার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
লোহাগড়ার দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় ফেসবুকে মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তির ঘটনায় শুক্রবার (১৫ জুলাই) উত্তেজিত জনতা দিঘলিয়া বাজারের ৬টি দোকান ভাংচুর করে। একটি মন্দিরে আগুন দেওয়াসহ তিনটি মন্দির ভাংচুর করে। এছাড়া সাহাপাড়ার ৫টি বসতবাড়ী, আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার সময় স্থানীয় ইউপি মেম্বর, এক শিক্ষকসহ ৩জন আহত হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]