নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ওই যুবকের নাম মামুন শেখ (২৪)। এছাড়াও তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
বুধবার (২৫ মে) বিকেলে নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা ও দায়রা জজ সানা মো. মাহরুফ হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মামুন শেখ নড়াইল সদর উপজেলার পেড়লি গ্রামের ফেরদৌস শেখের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে,নড়াইল সদর উপজেলার পেড়লি গ্রামের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে আসামি মামুন প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। ওই মেয়ের পরিবারের লোকজন মামুনের পরিবারের কাছে বিচার দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এরপর ওই মেয়েকে তার বাবা কংকন বৈরাগী নামে একজনের সঙ্গে বিয়ে দেন। কিন্তু মামুনের হাত থেকে রেহায় পায়নি ওই স্কুলছাত্রী। উপায়ান্ত না পেয়ে মেয়েটিকে তার মামার বাড়ি সদর উপজেলার রতডাঙ্গা গ্রামে রেখে আসেন তার বাবা।
২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে পোশাক বানানোর কথা বলে বাইরে এলে মামুন মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন। মামলায় ওই মেয়েটির জবানবন্দি থেকে জানা যায়, নিজেকে তিনি সাবালিকা মনে করেন। নাম বদলান এবং ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর ইসলাম ধর্ম অনুসারে মামুনকে বিয়ে করেন।
আদালত এ মামলায় ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামি মামুন মেয়েটিকে ফুসলিয়ে অপহরণ করেছে বলে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এই দণ্ডাদেশ দেন আদালাত।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]