পবিত্র ঈদুল আযহা’র আর মাত্র ক'দিন বাকি, করোনা মহামারির জন্য এবারের ঈদকে সামনে রেখেও কাঙ্খিত ব্যবসা হচ্ছে না ব্যবসায়ীদের। এনিয়ে চারটিটি ঈদই তাদের ব্যবসা না করেই কাটাতে হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন কাপড় ব্যবসায়ীরা।
শুধু ঈদ কেন গত বছর থেকে কোনো উৎসবেই ব্যবসা করতে পারেননি তারা। গত বছরের দুটি এবং এবারের রোজার ঈদেও করোনার সংক্রমণ ছিল, আর এবার তো কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই কাটছে ঈদ মওসুম। এছাড়া গত বছরসহ দুটি পহেলা বৈশাখ, দুটি ফাগুন, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসেও মানুষ যে আনন্দ উদ্দীপনায় দিবসগুলো উৎযাপন করে তা করা সম্ভব হয়নি। করোনা মহামারির সংক্রমণ রোধে যেহেতু উৎসবগুলো পালন করা যাচ্ছে না তাই ব্যবসাও একেবারেই বন্ধ ব্যবসায়ীদের।
তবে ১৫ই জুলাই থেকে ২২শে জুলাই পর্যন্ত লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার কারণে গ্রামের হাট ও মফস্বলের ঈদ বাজার শহরের তুলনায় কিছুটা চাঙ্গা। কিন্তু শহরের দোকানপাট খোলা থাকলেও ঈদকেন্দ্রিক বেচাবিক্রিতে কোনো গতি নেই ও আশানুরূপ ক্রেতা নেই। মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ঈদের বেচাকেনা শুরু করতে মার্কেটগুলোতে ব্যবসায়ীদের ছিল বেশ তোড়জোড়। তবে ক্রেতা আনাগোনা ছিল সীমিত। মার্কেটে ক্রেতা কম থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। অন্য সময় এর চাইতে বেশি কাস্টমার থাকে। এখন তো ঈদের টাইম, এখন আরও বেশি কাস্টমার থাকার কথা ছিল।
এ বিষয়ে একজন ব্যবসায়ীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, দুটি কারণে এবারের ঈদে মানুষের আনাগোনা কম, তার প্রথম কারণ হচ্ছে- সাতক্ষীরা জেলা সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি হওয়ায় মানুষের মাঝে করোনা ভীতি এবং ঈদের মাসব্যাপী কঠোর লকডাউনের কারণে ঢাকা থেকে নতুন কোয়ালিটির কোন পন্য আনতে না পারা। তবে ঈদের দুই একদিন আগে ইনশাআল্লাহ কাস্টমার বাড়বে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]