প্রায়শই দেখি রাস্তায় গাছ কেটে, জলাশয় ভরাট করে, খেলার মাঠ দখল করে উন্নয়নের কাজ চলছে। যেখানে তৈরি করা হচ্ছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা – সংবলিত বহুতল ভবন, আবাসিক হোটেল, সোসাইটিই এবং সুপার মার্কেট। মে উন্নয়নের পরিকল্পনায় প্রকৃতির কল্যাণ বিবেচনা করা হয় না, সে পরিকল্পনার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। জানালেন জাতীয় পার্টির নেতা দয়াল কুমার বড়ুয়া।
সম্পত্তি এক গবেষণায় দেখা গেছে পৃথিবীর বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ এখন ৪১৫ পিপিএম, যা মানবসভ্যতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে দিনদিন এই পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
বিশ্বের যেসব দেশ জলবায়ু ও প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি লাইন এখানে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক” দাও ফিরে সে অরণ্য, লো এ নগর, লো যত লৌহ লোস্ট্র ও প্রন্তর“।
মানবসভ্যতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে প্রকতির যথোপযুক্ত সংরক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ বলা আছে,” রাস্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন করবে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি,বন ও বন্যপ্রাণী, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করবে “। জলবায়ু ও প্রাকৃতিক পরিবর্তন মোকাবিলায় অনেক দ্রুত ও সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা নেওয়া এখনই সময়। অধিক হারে বৃক্ষরোপণ, শিল্পায়নের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং প্রাণ – প্রকৃতির সঠিক সংরক্ষণ, পরিবেশ দূষণ রোধে সচেতনতা বাড়ানো, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, শহরে সবুজ বনায়ন প্রকল্প, নদী ও জলাভূমি দখলমুক্ত করে সংরক্ষণ করতে হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হওয়া দরকার মনে করেন ঢাকা -১৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রর্থী দয়াল কুমার বড়ুয়া।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]