সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন। অসহায় এই মানুষটির মরার উপর খড়ার ঘা হয়েছে চলতি বর্ষা মৌসুমে। জরাজীর্ণ এক টুকরো ঘরও ভঙ্গুর অবস্থায়। মাথা গোঁজার ঠাই না থাকায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।
ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ধানদিয়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০)।
সরেজমিনে তার বাড়িতে ঘুরে দেখা গেছে- ‘পলিথিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘরটি স্থাপন করা। বর্ষা মৌসুমের এই সময় আরো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে সেটি। প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হওয়ায় পলিথিন-বাঁশের সেই ঘরটি থাকা না থাকার মতো অবস্থা। এরই মাঝে লকডাউনে জাহাঙ্গীর হোসেন কর্মহীন হয়ে পড়ায় বেকার অবস্থায় বসে আছেন। সবমিলিয়ে পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছে।’
জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ‘পৈত্রিক সুত্রে কোন জমি পান নি তিনি। তার পিতারও কোন ফসলি জমি নাই। যার কারণে জাহাঙ্গীর হোসেন কোন ফসলী জমিও পান নি। তার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ২, তিনি এবং তার স্ত্রী। পেশায় জাহাঙ্গীর হোসেন ভাঙ্গাহাড়ির ব্যবস্যা করেন। বর্তমানে লকডাউনের কারণে সেটাও বন্ধ। কর্মহীন দুই সদস্যোর পরিবারটি বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সংসারই চলে না। তার উপরে জরাজীর্ণ ঘরটি নিয়ে মুশকিলে পড়েছেন পরিবার নিয়ে। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি পড়ে। বিছানা, কাপড় সব ভিজে যায়। বসবাসের অনুপযোগী ঘরটিতে ভিজেপুড়ে অতি কষ্টে বসবাস করছেন তিনি।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলিথিনের ছাউনির নিচে বাঁশের বেড়া দিয়ে বসবাস করছেন স্ত্রীকে নিয়ে। ভাঙ্গাহাড়ির ব্যবসা করে সামান্য আয়ে অতিকষ্টে জীবন ধারণ করে বেঁচে থাকা তাদের। ফসলী কোন জমি না থাকায় সামান্য আয়েই কোন রকমে চলছিলো তাদের। লকডাউন আর বৃষ্টির এই সময়ে আরো বেকাদায় পড়েছেন। মাথা গোঁজার ঠাই টুকু করতে পারছেন না। পলিথিনের ছাউনি আর বাঁশের বেড়ার ঘর নিয়ে বর্তমানে অসহায়ত্ব চরমে পৌছেছে।’
তিনি অনুযোগের সুরে বলেন, ‘এলাকার মেম্বর-চেয়ারম্যানদের বলেও কোন সুরহা হয়নি।’
উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তিনি।
পরিবারটি যেনো একটু মাথা গোঁজার ঠাই পান সেজন্য জাহাঙ্গীর হোসেনের প্রতিবেশীরাও উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিত্তবানদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]