করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে মাসখানেক আগে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একের পর এক বন্ধ হচ্ছিল সরকারি দপ্তর। বর্তমানে সেই ছবি ফিরে আসছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যেও একের পর এক বন্ধ হচ্ছে সরকারি দপ্তরগুলো।
সংক্রমণের জেরে মঙ্গলবারই কলকাতার জেশপ বিল্ডিংয়ে কৃষি ডিরেক্টরেটের অফিস ফের তিনদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে ওই দপ্তরে অতিরিক্ত অধিকর্তার করোনা ধরা পড়ায় এই দপ্তরটি বন্ধ করা হয়েছিল। গোটা অফিস স্যানিটাইজেশনের পর তা চালু হয়। কিন্তু সম্প্রতি দপ্তরের ডিরেক্টরেটের গাড়িচালকের কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। ফলে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
শুধু জেশপ বিল্ডিং নয়, শহরের সল্টলেকে পঞ্চায়েত ভবনের পাঁচ ও দশতলায় কর্মীদের করোনা ধরা পড়ার ফলে ওই দুটি তলায়ও অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
পাশাপাশি এক সরকারি কর্মচারী সংক্রমিত হওয়ার খবরে বুধবার (১৫ জুলাই) উদ্বেগ ছড়ায় হুগলি জেলার শ্রীরামপুর পৌরভবনেও। আতঙ্কের জেরে এ দিন দুপুরেই নোটিশ জারি করে আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত পৌরভবন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ওই জেলার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপারসন।
অপরদিকে, রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের পরিবারের একাধিক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণে জেরে মৃত্যু হয়েছে তার শ্যালক শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মন্ত্রীর স্ত্রীও করোনার কবলে পড়ায় সবাই এখন হোম কোয়ারেন্টিনে। এ দিন মন্ত্রী নিজেই এ খবর জানান। ফলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কয়েকটি বিভাগ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
অবশ্য এর আগে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে বর্তমানে তিনি নিজের দপ্তর সামলাচ্ছেন।
বুধবার ফের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, করোনা উপসর্গ নিয়ে সেখানে ভর্তি হওয়া রোগীদের সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার কারণে পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ জন্ম নিচ্ছে।
এছাড়া জানা যাচ্ছে, করোনার সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজ্যে কোভিড-১৯ হসপিটালগুলোতে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্যের নিরিখে পরিস্থিতি কিছুটা বেহাল হওয়ার কারণে অনেক করোনা রোগী ভর্তি হওয়ার জন্য হাসপাতাল পাচ্ছেন না। ফলে তারা নিজেদের হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছেন। এমন মত বিরোধীদেরও।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার কলকাতা পৌরসভায় পর্যালোচনা বৈঠক করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি জানান, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কোথায় কত বেড ফাঁকা, সেই তথ্য নিয়ে আলাদা পোর্টাল করা হবে। যাতে নির্দিষ্ট রোগী বুঝতে পারেন কোন হাসপাতালে কত বেড ফাঁকা রয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]