দিন-রাতের ম্যাচে বৃষ্টির শঙ্কা উড়িয়ে টস ভাগ্যটা জস বাটলারের পক্ষেই ছিল। ইংল্যান্ড অধিনায়ক আবহাওয়া আর এমসিজির উইকেটের কথা ভেবে শুরুতে বল তুলে দেন নিজ বোলারদের হাতে।
তার সিদ্ধান্তটা যৌক্তিক হতে সময় লাগেনি। ২০ ওভারে পাকিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে তুলে মাত্র ১৩৭ রান। জবাবে নেমে পুরো টুর্নামেন্টে ফ্লপ বেন স্টোকস দেখান যোগ্যতার পরিধিটা। তার ব্যাটেই ইংল্যান্ড ফাইনালটা নিজেদের করে নেয়। ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড বনে যায় বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন!
পাকিস্তানের পেস আক্রমণকেই ভয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই জুজুতে শুরুতে চাপে পড়েছিল তারা। এমনিতে লো স্কোরিং ম্যাচ অনেক সময়ই উপভোগ্য হয়। তেমন কিছুরই ইঙ্গিত ছিল শুরুতে। প্রথম ওভারেই ভাঙে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। অ্যালেক্স হেলসকে বোল্ড করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার লেগ স্টাম্পে পড়ে সোজা আসা বলে হেলস ব্যাট চালিয়ে খেলতে পারেন নি। প্যাডে লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ২ বলে ১ রানে আউট হেলস।
তারপরই হারিস রউফ ম্যাচটা জমিয়ে তুলেন ফিল সল্টকে ফিরিয়ে। পুল করতে গিয়ে মিস টাইমিং। সল্ট অনায়াস ক্যাচ তুলে দেন ইফতিখার আহমেদের হাতে। তিনি ফেরেন ৯ বলে ১০ রানে। তারপর অধিনায়ক জস বাটলারকে ফিরিয়ে ম্যাচটা জমিয়ে তুলেন হারিস রউফ। তার লাফিয়ে বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে লাইন মিস করেন বাটলার। বলে সুইং থাকায় ব্যাটের বাইরের কানা স্পর্শ করে চলে যায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। ফেরার আগে ১৭ বলে ২৬ রান তুলেন বাটলার। আর পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ইংল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯!
তারপর বেন স্টোকস আর মঈন আলির ব্যাটে হাসিমুখ ইংল্যান্ডের। পরিস্থিতি বুঝে লড়ে গেছেন দু'জন। জানা ছিল আস্কিং রান বেশি নয়। টিকে থাকলেই চলবে। তাছাড়া পাওয়ার প্লে থেকেও ভাল রান পেয়েছিল দল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্টোকস খেলেন ঠান্ডা মাথায়। তার ব্যাটে ৪৯ বলে ৫৫ রান। মঈন তুলেন ১৩ বলে ১৯ রান!
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি পাকিস্তানের। শুরুতেই রানআউটে ফিরতে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ক্রিস জর্ডান মিস করায় প্রাণ পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেন নি পাকিস্তানের এই ওপেনার। রিজওয়ানের উইকেট উড়িয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম সাফল্যটা এনে দেন স্যাম কারান।
এই পেনারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করা বলে ব্যাট চালিয়ে ভুল করেন রিজওয়ান। ব্যস, ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে আঘাত হানে লেগ স্টাম্পে। ফেরার আগে ১৪ বলে ১৫ রান তুলেন রিজওয়ান। তার বিদায়ের সময় দল মহা বিপাকে। ৫ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ১ উইকেটে ২৯ থাকলে তো আর টি-টোয়েন্টিতে স্বস্তি পাওয়া যায় না। তারপর প্রথম ৬ ওভার শেষে পাওয়া প্লে’তে ৩৯ রান।
তারপর মোহাম্মদ হারিসও যেতে পারেন নি বেশিদূর। আক্রমণে এসেই তাকে ফেরান আদিল রশিদ। তখন খেলা চলছিল অষ্টম ওভারের। বল হাতে নিয়েই বোকা বানান হারিসকে। তার প্রলুব্দ তরা বলে উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে সর্বনাশ হয়ে যায় তার। টাইমিং ভুলে লং-অনে বেন স্টোকসের হাতে বল দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। তার আগে করেন ১২ বলে ৮।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]