বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, আমি অতি সাধারণ মানুষ আমার কাছে হিসাবটা সোজা। অতীতে যারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি এবং বর্তমানকালে যারা পতিত হয়েছে তারাও স্বাধীন বাংলাদেশ বিক্রি করেছে। দুইটা একই জিনিস। তাদের ক্ষমতা চাই, দেশ তাদের প্রভুদের। এখন পাকিস্তানপন্থী আর ভারতপন্থী দুইটাই মিল্লা গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি কথাগুলো বলেন।
ইশরাক হোসেন লিখেছেন, একটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে কেন পিআর এর জন্যে মরিয়া হয়ে উঠতে পারে, অনেকের মতো সেটা আমারও প্রশ্ন।
তিনি আরও লিখেছেন, যদি একটি দলের সম্ভাব্য ভোটের শতাংশ দেশের নিবন্ধিত মোট ভোটারের একটি নগণ্য অংশ হয়, তাহলে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেশবিরোধী চক্রান্তকারী আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নিজ মার্কায় আওয়ামী ভোট কাস্ট করে। ক্ষমতা দখল অথবা দেশের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে থাকতে পারে।
এই বিএনপি নেতা লিখেছেন, সংখ্যায় অতি নগণ্য হলেও বাংলাদেশের মাটিতে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী (স্বশস্ত্র এবং তত্ত্বে বিশ্বাসী) রয়েছে। যাদের একটি বড় অংশকে সরাসরি ভারত পৃষ্ঠপোষণ ও আশ্রয় দেয়। এ ছাড়া ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতে চাওয়া সমর্থক গোষ্ঠীও তৈরি হয়েছে বিগত ১৭ বছরে। এরা যদি পিআর সিস্টেম ব্যবহার করে সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের যেকোনো অংশ আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলে তাহলে সেটা কিভাবে ঠেকানো যাবে?
তিনি লিখেছেন, এখন উপরোক্ত দুটি কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখানে প্রতিবেশী ভারত তার নিজস্ব বলয় তো বসাবেই, বিশ্বের অন্যান্য সুপার পাওয়ারগুলোও একই পদ্ধতি অবলম্বন করবে।
শেষে ইশরাক লিখেছেন, হিসাবটা আরও সহজ করে দেই। বাংলাদেশের জনগণ কোনো দালালদের কাছে রাজপথ ইজারা দেয় নাই। দেশবিরোধী কাজ যারা করবে, তাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া হবে। দেশের জন্যে জীবন দিয়ে দেব, তবু একাত্তর আর চব্বিশ, এই দুই প্রজাতির রাজাকারদের হাতে তুলে দিব না। অথবা অন্য যেকোনো দেশের দালালদের কাছে নত হব না, ইনশাআল্লাহ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]