পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জরানওয়ালায় কোরআন অবমাননার অভিযোগে গির্জায় আগুন এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিবিসি জানায়, অন্তত চারটি গির্জায় আগুন লাগানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আর বাসিন্দারা বলেছেন, গির্জার সাথে সংযুক্ত এক ডজন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তানে ব্লাসফেমির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এর জন্য দেশটিতে এখন পর্যন্ত কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি, তবে এই অভিযোগে বহু লোক এর আগে জনতার হাতে নিহত হয়েছে।
পাকিস্তানের জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশের বেশি মুসলমান ধর্মাবলম্বী বলে মনে করা হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, দুই খ্রিষ্টান ব্যক্তির কাছে লাল কালিতে অবমাননাকর মন্তব্য লেখা কোরআনের পাতা পাওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বাড়ি ছেড়ে পালানো ইয়াসির ভাট্টি জানিয়েছেন, ‘তারা জানালা, দরজা ভেঙে ফ্রিজ, সোফা, চেয়ার এবং অন্যান্য গৃহস্থালি জিনিসপত্র নিয়ে গির্জার সামনে পুড়িয়ে ফেলার জন্য স্তূপ করে রাখে। তারা বাইবেলও পুড়িয়ে দেয় এবং অপবিত্র করে, তারা ছিল নির্মম’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা খ্রিস্টানদের ভবন ধ্বংস করছে এবং পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছে।
পাঞ্জাব প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী আমির মীর কথিত ধর্ম অবমাননার নিন্দা করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, এলাকায় হাজার হাজার পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং কয়েক ডজন লোককে আটক করা হয়েছে।
একটি সরকারি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) নামক একটি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলের লোক এতে জড়িত। তবে তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকার সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পার্শ্ববর্তী শহর লাহোরে পাকিস্তানি বিশপ আজাদ মার্শাল বলেছেন, খ্রিষ্টান সম্প্রদায় এই ঘটনায় ‘গভীরভাবে দুঃখিত ও ব্যথিত’।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]