প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সোনাই নদীতে পাট ধোয়ার ধুম পড়ে। আবহমান গ্রাম বাংলার সেই চিরচেনা দৃশ্য এবারও দেখা দিয়েছে স্বরূপে। কলারোয়া উপজেলার হিজলদী, দাড়কী ও বড়ালীসহ অত্র এলাকার কৃষকেরা এখন ব্যস্ত পাট ধোয়া, শুকানো ও পাটকাঠি সংরক্ষণে। এবার এসব এলাকায় প্রায় ২শ একর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। যার পুরোটা পঁচানো হচ্ছে সোনাই নদীতে।
এবছর পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় ও ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকেদের ক্লান্তি মনে যেন বইছে শান্তির নিশ্বাস।
পাট দেশের একটা সম্ভাবনাময়ী খাত। পাট থেকে ব্যাগ বস্তা কার্পেট ছাড়াও তৈরি হয় জিওটেক্সটাইল যা বাধ নির্মাণ, ভূমি ক্ষয় ও পাহাড় ধ্বসরোধে ব্যবহারিত হয়।এছাড়াও আমাদের পাট থেকে বিভিন্ন দেশে গাড়ি নির্মাণ কম্পিউটারের বডি বিমান তৈরির পার্টস সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি হয়। এবং পাটকাঠি থেকে তৈরি হয় উচ্চমূল্যের চারকোল যা থেকে তৈরি হয় আতশবাজি, কার্বন পেপার, ফটোকপিয়ারের কালি, মোবাইল ফোনের ব্যটারি সহ আরো অন্যান্য জিনিস।
চন্দনপুর ও সোনাবাড়ীয়া এই দুই ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার একর জমিতে পাট চাষ করা হয়। সঠিক পরিচর্যা ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের অভাবে যথাযথভাবে চাহিদা পুরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সোনালী আশের সোনালী দিন ফিরাতে সরকারিভাবে যদি কৃষদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে এ অঞ্চল হবে পাট শিল্পের জন্য সম্ভাবনাময়ী একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বলে মনে করেন অনেকে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]