পাবনার সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে আরও অনেকদিন আগে। কিন্তু হঠাৎ করে দাম কমায় বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রচুর পরিমানের মজুদসহ দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে দেশী পেঁয়াজের।
জানা যায়, ৩ মাস আগে মৌসুমী পেঁয়াজ ওঠার শুরুতে প্রতি মণ পেঁয়াজ মাত্র ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এর ১ মাস পর প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ১০/১৫ দিনের ব্যবধানে আবার বাজার কমে গিয়ে বর্তমানে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১১০০ টাকা দরে।
পেঁয়াজ চাষী ওমর আলী প্রামাণিক বলেন, রমজান মাসে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এতে কৃষকদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা দেয়। কিন্তু ১ মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের বাজারে আবার ধস নামে।
উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আদর্শ পেঁয়াজ চাষী কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করে কৃষকের উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রতি মণে ২০০-৩০০ টাকা লোকসান হচ্ছে। তাতে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
সুজানগর পৌর পেঁয়াজ বাজারের আড়তদার আবুল কালাম বলেন, বাজারে প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ মজুদ আছে। সেই সঙ্গে দেশী পেঁয়াজের আমদানিও প্রচুর। ফলে পেঁয়াজের বাজার বাড়ছে না।
সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন, দেশী পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় বর্তমানে বাজার মন্দা। আশা করা যাচ্ছে সামনে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]