পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দাফনের ৪৩দিন পর লাশ উত্তোলন করলো পিবিআই


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সুরতহাল ও ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য ৪৪ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট, মেডিকেল অফিসার, মামলার বাদী ও সাক্ষীদের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করেন পিরোজপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক (ওসি) আহসান কবির।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান কবির জানান, মঠবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৮ অক্টোবর দায়ের করা একটি হত্যা মামলার তদন্তের প্রেক্ষিতে সুরতহাল ও ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য ইমরান গাজীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ড সবুজনগর এলাকার মৃত মন্নান গাজীর পুত্র মোঃ ইমরান গাজীর ঝুলন্ত লাশ ১১ অক্টোবর পুলিশ উদ্ধার করার পর থানায় মামলা করতে যায় ইমরান গাজীর পরিবারের সদস্যরা। থানা পুলিশ মামলা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় আব্দুলাহ বাদী হয়ে ১৮ অক্টোবর কোর্টে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী আব্দুল্লাহ রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার ইমরান গাজীর আপন ভাই। ইমরান গাজী পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এবং পারিবারিক জীবনে অবিবাহিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, থানা পুলিশের প্রভাবে মঠবাড়িয়া কোর্টের কিছু আইনজীবী হত্যা মামলাটি দায়ের করতে বাদীর পক্ষে দাঁড়াতে এগিয়ে না আসলেও এ্যাডভোকেট নাসরিন জাহান সাহসিকতার সাথে মামলাটি পরিচালনা করেন। নাসরিন মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান।
এ্যাডভোকেট নাসরিন জাহান বলেন, আমাকে প্রভাবিত করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সকল ভয় ভীতি ও লোভ লালসার ঊর্ধ্বে থেকে ইমরান গাজীর হত্যা মামলাটি পরিচালনা করছি।পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে। আশা করি ভুক্তভোগীরা আদালতে ন্যায় বিচার পাবে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল জানান, থানা পুলিশকে জড়িয়ে ইমরান গাজীর পরিবারের সদস্যরা যে বক্তব্য দিয়েছে তা সঠিক নয়। ইমরান গাজীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করার পর তাদেরকে থানায় মামলা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। তারা থানায় মামলা করেনি। কোন আইনজীবীকে মামলাটি পরিচালনা করতে থানা পুলিশ কখনো নিরুৎসাহিত করেনি।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
