পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড পশ্চিম সেনের টিকিকাটা গ্রাম। এই গ্রামে এখন এক আতঙ্কের নাম বখাটে সোহেল। তার বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
সোহেল ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য চাঁন মিয়ার পুত্র। পিতা চাঁন মিয়ার কাছে অভিযুক্ত ছেলের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্হা নিলে আমার কোন আপত্তি নেই।
সরেজমিনে গিয়ে মাদক, ছিনতাই ও মারামারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ শোনা যায় সোহেলের বিরুদ্ধে।
২০ অক্টোবর সন্ধ্যার পর কামাল নামে এক যুবককে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারধর করে সোহেল। এ সময় বহিরাগত অজ্ঞাত ৬/৭ জন যুবক তার সাথে ছিল। প্রধান শিক্ষক খালেক নাজিরের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পায়নি কামাল। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও আতঙ্ক কাটেনি এখনও।
ইতোপূর্বে রানী বেগম নামে এক নারী ৬০ হাজার টাকা নিয়ে ওই এলাকা থেকে বাবার বাড়ি যাওয়ার সময় সামসু মেম্বার বাড়ি সংলগ্ন ঢালাই ব্রীজের সামনে পথরোধ করে ছিনতাই চেষ্টা চালায় সোহেল। ওই নারী কৌশলে স্হানীয়দের সহযোগিতায় রক্ষা পায়।
স্হানীয় রুহুল খাঁ এর মেয়ে জামাই বেড়াতে আসার সময় পাঁচশত কুড়া ইটসোলিং রাস্তার ওপর পথরোধ করে সাথে থাকা টাকা পয়সা ছিনতাই করে নিয়ে যায় সোহেল। স্হানীয়ভাবে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী ওই পরিবার।
আল-আমিন নামে এক রেন্ট এ কার পশ্চিম সেনের টিকিকাটা এলাকা থেকে মটর সাইকেল চালিয়ে মঠবাড়িয়া আসার পথে আকন বাড়ির সামনে পথরোধ করে মটর সাইকেল ছিনতাই করে। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। থানা পুলিশ সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক পক্ষের ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল হিসেবে কাঞ্চন হাওলাদারের ছেলে জালালকে বেধড়ক মারধর করে সোহেল। সাথে ছিল অজ্ঞাত ৬/৭ জন বখাটে। জালালকে উদ্ধার করতে এসে গুরুতর আহত হন পরিবারের অন্য সদস্যরাও। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্হ হয় ভুক্তভোগী ও অন্য সদস্যরা। পরে গন্যমান্যরা স্হানীয়ভাবে মিটমাট করে দেয়।
নূর জাহান নামে স্হানীয় এক নারীর বড় বোনের ছেলে বেড়াতে এসে সোহেলের মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়।
সম্প্রতী সাঈফী নগর মাদ্রাসায় মাহফিল চলাকালীন কিশোর গ্যাং এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারির সৃষ্টি হয়।এর নেপথ্যেও ছিল সোহেল। মাহফিলে উপস্থিত স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি থানায় জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্হা নেয় পুলিশ।
আবু সালেহ নামে স্হানীয় এক ব্যবসায়ী পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে সোহেলের হামলা ও মারধরের শিকার হয়। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী ভয়ে অভিযোগ দেওয়ার সাহস পায়নি।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল জানান, সোহেলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। যেকোন সময় গ্রেপ্তার হতে পারে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]