পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক যুবকের ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। শিপন মুন্সী নামে আহত ওই যুবক খেজুরবাড়িয়া গ্রামের মৃত প্রফুল্ল চন্দ্র মুন্সীর ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। ১৫ জুলাই বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার পথে সকাল ৯ টার সময় তার ওপর পরিকল্পিত হামলা করা হয়।
এ ঘটনায় শিপন মুন্সীর স্ত্রী সাথী রানী বাদী হয়ে স্বাগতম মন্ডলকে ১ নং আসামী করে রবিবার (১৮ জুলাই) আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি বিবেচনায় নিয়ে মঠবাড়িয়া থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
হামলার ঘটনায় আহত ওই যুবকের পায়ে হাড়ফাটা জখম হয়। মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয় এবং কুপিয়ে জখম করে ইটসোলিং রাস্তার ওপর ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। পরিবার ও স্হানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার মাথার বামপাশে ও কপালের নিচের দিকে কুপিয়ে জখম করার স্হানে একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১০ জুলাই আশিষ মন্ডল গং এবং শুভঙ্কর, স্বাগতম মন্ডল গংদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে আশিষ মন্ডল ও তার স্ত্রী আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সহ মামলা মোকদ্দমার ব্যাপারে শিপন মুন্সী সহযোগিতা করেন।আর এজন্যই ১৫ জুলাই শিপন মুন্সী হামলার শিকার হন।
আশিষ মন্ডলের স্ত্রী ঝুমা মন্ডলের অভিযোগ, স্হানীয় গ্রাম পুলিশের ছেলে তুষার মন্ডলও হামলার সাথে জড়িত। গ্রামপুলিশ তার দুই ছেলেকে বলে - তোরা কোপাপি, আইন আদালত আমি বুঝমু।
গ্রাম পুলিশের ভাই স্বাগতম মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ঝুমা মন্ডল বলেন, আমাদের পানের বরজ আছে। পান নিয়ে আমার শ্বশুর বাজারে যেতে পারে না। তার চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হাত পা কেটে ফেলবে। নিউজ করে আর মামলা করে কি হবে। খুন করার পর আইন আদালতে বোঝব বলে আমাদের হুমকি দেয়।
তবে, গ্রাম পুলিশ শিমুল চন্দ্র মন্ডল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিপন মুন্সী সমাজ মানে না। এমনকি কোন সালিশ ব্যবস্হাও মানে না।তার বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অভিযোগ আছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]