জয়পুরহাটের কালাইয়ে জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে নিজ শয়নকক্ষে গলা কেটে গৃহবধূ শিপন আক্তারকে (৪৫) হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন তার স্বামী ও বড় সন্তান।
সন্দেহের জালে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ও সন্তানসহ বেশ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে আসার পর বাবা-ছেলে মিলে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দিলে অন্যদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
২৯ মে রবিবার বিকেলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে পিতা-পুত্রকে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য হাজির করা হয়। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই শাহজাহান আলী বাদী হয়ে ঘাতক পিতা ও পুত্রকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘাতক স্বামী কালাই উপজেলার দুধাইল-নয়াপারা গ্রামের মৃত আলেক উদ্দিন সরকারের ছেলে তোজাম হোসেন সরকার (৫২) এবং গৃহবধূর গর্ভের বড় ছেলে শিহাব উদ্দিন (২০)।
গত শনিবার সকালে এই ঘটনার পর পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য জানতে তাদেরসহ বেশ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে আসেন। কেঁচো খুঁজতে যেমন সাপ বের হয়ে আসে, ঠিক তেমনি গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এভাবেই পিতা-পুত্রের মুখ থেকে বের হয়ে আসে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]