পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৩১৬টি গাড়ি চলাচল করেছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০০ টাকা।
সোমবার (২৭ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন।
তিনি জানান, প্রথম ২৪ ঘণ্টায় সেতুর মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ২৬ হাজার ৫৮৯টি গাড়ি পার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৯০০ টাকা।
অন্যদিকে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ২৪ হাজার ৭২৭টি গাড়ি পার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা।
প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, প্রথমদিনে যেসব গাড়ি চলাচল করেছে তার ৬০ ভাগই মোটরসাইকেল ছিল। ট্রাক বা বড় যান সেই তুলনায় কিছুটা কম ছিল। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে সেতুতে কোনো মোটরসাইকেল প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে টোল দিয়ে সেতুতে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রোববার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকায় আসতে দীর্ঘদিন যে অসহনীয় দুর্ভোগ ও কষ্ট ছিল তা দূর হয়েছে। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত দিয়ে উত্তাল পদ্মা নদী পার হতে যেখানে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগত এখন সেই নদী পার হতে কেবল সময় লাগছে কয়েক মিনিট। এতে অনেকেই বাইক ও প্রাইভেটকার নিয়ে পার হচ্ছেন তাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেই সঙ্গে ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন ধরণের যান চলাচল করছে সেতু দিয়ে।
পদ্মাসেতু থেকে মাসে টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বছরের হিসেবে তা হবে ১ হাজার ৬০৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ টাকা দিয়ে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াও নির্মাণ খরচের ঋণ পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। কোনো উন্নয়ন সহযোগী বা প্রতিষ্ঠানকে নয়, স্বয়ং বাংলাদেশ সরকারকে ৩৫ বছরে সুদসহ ৩৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মিত। এর পুরোটাই সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেছে। চুক্তির অনুচ্ছেদ ২ মোতাবেক ঋণের অর্থ প্রকল্প সমাপ্তির পর বার্ষিক ১ শতাংশ হারে সুদসহ ৩৫ বছরে ১৪০ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া নকশা প্রণয়নের সময় নেওয়া ২১১ কোটি টাকার বিপরীতে ৩৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]