ভারতের উত্তরপ্রদেশের হারদৌ জেলায় প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে নিজের মেয়েকে হত্যা করেছেন এক বাবা। ১৭ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক মানতে না পেরে তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের মেয়ের মাথা কেটে থানায় যাচ্ছিলেন। অবশ্য খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার (৩ মার্চ) বিকেলে ওই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত সর্বেশ কুমার। প্রথমে তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের মেয়েকে হত্যা করেন। এরপর মেয়ের মাথা কেটে নির্লিপ্তভাবেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে থানার উদ্দেশে যেতে থাকেন। গ্রামের মানুষও ওই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে যান। তারা পুলিশকে খবর দিলে দুই কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত সর্বেশ কুমার পুলিশের সব প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমিই খুন করেছি। অন্য কেউ নেই। ঘরের দরজা বন্ধ রয়েছে। মেয়ের মরদেহও ঘরে পড়ে আছে।’
কেন এমন নৃশংসভাবে নিজের মেয়েকে হত্যা- জানতে চাইলে পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তার মেয়ের। কিন্তু তাতে সম্মতি ছিল না অভিযুক্ত সর্বেশের। সে কারণে ক্ষোভের বসে তিনি তার মেয়েকে হত্যা করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]