ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের ছোট বাহিরদিয়া গ্রামে চেতনানাশক ঔষধ ছিটিয়ে একটি পরিবারের সকলকে অজ্ঞান করে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কৃতকারী চক্র। চেতনানাশক ঔষধের বিষক্রিয়ায় ৪নারী সহ ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বাগেরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মচারী ও ছোট বাহিরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো: দেলোয়ার হোসেনের বসতঘরে রবিবার রাতের কোন এক সময় দুষ্কৃতকারী চক্রের সদস্যরা খাবারের সাথে অথবা ঘরের ভেতর চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে করে। পরে যখন সকলে ঘুমিয়ে পড়ে তখন ঘরের গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য জিনিসপত্র সহ আনুমানিক ৫লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। তবে পরিবারের লোকজন অসুস্থ থাকায় চুরির সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, চুরির সময় এরমধ্যে তানিয়া বেগম নামের এক নারী টের পেয়ে চিৎকার দিলে ছোর চক্রটি পালিয়ে যায়। ঘটনার রাতে গৃহকর্তা মো: দেলোয়ার হোসেন বাড়ীতে ছিলেন না। অসুস্থ হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তরা হলেন দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শাহিনুর বেগম (৪৭), পুত্র জুবায়ের হোসেন (২২),কন্যা সুমাইয়া বেগম,নিকট আত্মীয় তানিয়া বেগম ও শিউলি খাতুন। এ ঘটনার খবর পেয়ে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে দেখতে যান এবং খোজ খবর নেন বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রেজাউল করিম ফকির, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: লিয়াকত আলী শেখ, বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
ফকিরহাটে কোভিট-১৯ এর ভ্যাক্সিন প্রদানের সপ্তম দিন অতিবাহিত
ফকিরহাটে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদানের সপ্তম দিনেও ভীড় দেখা গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট (ইপিআই)
মো: কামাল হোসেন জানান, এদিন অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারী ৫১৩জন নারী-পুরুষ কোভিট-১৯ এর টিকা গ্রহন করেছেন। এপর্যন্ত টিকা গ্রহন কারীর সংখ্যা মোট ২৬৪৭জন। জানা গেছে নতুন করে ভ্যক্সিন না আসলে তারা আর মাত্র ২৬০জনকে টিকা প্রদান করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ভ্যাক্সিন গ্রহনের জন্য রেজিষ্ট্রেশনের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে গেলেও চাহিদার তুলনায় ভ্যক্সিন সংকর রয়েছে। ভ্যাক্সিন নিতে আগ্রহী অনেকেই জানিয়েছেন ইন্টারনেট সার্ভারের সমস্যা জনিত কারনে রেজিষ্ট্রেশন করতে সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসিম কুমার সমাদ্দার জানান, ফকিরহাটে প্রথম ধামে করোনার টিকা এসেছে ৪৪৮ ভায়াল অর্থাৎ ৪হাজার ৮শত। এরমধ্যে প্রদান করা হবে ২হাজার ৪শত জনকে। বাকী ভ্যাক্সিন দ্বিতীয় ডোজের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া চাহিদার কথা বিবেচনা করে আরও ১৫০ভায়াল অর্থাৎ ১হাজার ৫শত ভ্যাক্সিন সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগ্রহ করা ভ্যক্সিনও শেষের দিকে। তবে তিনি অন্যত্র থেকে ভ্যক্সিন সংগ্রহের চেষ্টা করছেন বলে জানান। এদিকে রবিবার যারা কোভিট-১৯ এর টিকা দিয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন ফকিরহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ কুমার বিশ্বাস, পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খান শামিম জামান পলাশ, সাংবাদিক পিকে অলোক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]