গত ১৮ জুলাই থেকে বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী সকল সিম থেকে সকল ধরনের ফ্রি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি সার্বিক দিক বিবেচনায় অযৌক্তিক এবং অমানবিক বলে আমি মনে করি। ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে সবসময় ই একজন ব্যাক্তিকে কোন না কোন কারণে সোশাল মিডিয়ায় কানেক্ট থাকতে হয়।
বর্তমান বাজেট ঘোষণার পর থেকে ডাটাপ্যাক ও কলরেটের মূল্য তুলনামূলক বেশি ধার্য্য করা হয়েছে। মেগাবাইটের এখন যে প্রাইস তাতে সবসময় সবার পক্ষে ইন্টারনেটে কানেক্ট থাকা দুষ্কর।তাছাড়া করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য দেশের সব ধরনের/পেশার মানুষ ই আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এটাও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে এমন একটি সিদ্ধান্ত অাসলে অযৌক্তিক। স্বাভাবিক অবস্থায় এমন একটি সিদ্ধান্ত নিলে বিষয়টি অন্যভাবে বিবেচিত হতো। যেখানে সিদ্ধান্তটি এমন হতে পারত যে করোনাকালীন অবস্থা মোকাবেলায় সকল অপারেটর থেকে কম মূল্যে ডাটা প্যাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিটিআরসি।
যারা আমরা ছাত্র রয়েছি, বিভিন্ন স্টাডি গ্ৰুপে(মেসেঞ্জারে/ফেসবুকে) যুক্ত রয়েছি, যেইখানে শুধুমাত্র পোস্ট গুলো/মেসেজ গুলো পড়লেই হতো এবং তা ফ্রি তেই করা যেত। এই সুবিধা গুলো বন্ধ হয়ে গেল। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ডিপার্টমেন্টভিত্তিক তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও মেসেঞ্জার গ্রুপে কানেক্টেড থাকে, যেখান থেকে তারা তাদের ক্লাস সিডিউল ও অন্যান্য নির্দেশনা পেয়ে থাকে। হল বা মেসে ওয়াই-ফাই সুবিধার কারণে এসব তথ্য যথা সময় পেলেও বাইরে থাকার সময় ডাটা না থাকলে অাগের মতো এই নির্দেশনাগুলো অার পাওয়া সম্ভব নয়।
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও মেসেঞ্জার গ্রুপে কানেক্টেড থাকে। বাঁধন ও স্বজনের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো বিনামূল্যে রক্তদাতা খুজে দিয়ে অনেক রোগীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। সংগঠনের সদস্যদের এসব রক্তদাতা ম্যানেজ করার পেছনেও ফ্রি ফেসবুক এর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছ।
সর্বপরি আমার মনে হয় ফ্রি সার্ভিস পুনরায় বহাল রাখা প্রয়োজন। বিটিআরসি এই যুক্তি এবং অপারেটর দের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এইটা একটা নীতিমালার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সার্বিক দিক বিবেচনায় ফ্রি-সার্ভিস বন্ধের এই ঘোষণা অযৌক্তিক।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]