জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মদিনে রুহের মাগফিরাত কামনা ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সেই সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। দিবসটি এবার তয় বারের মতো জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক
সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গত বছর (২০২০) ২০ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন ৮ আগস্ট ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেব ঘোষণা করা হয়। ফলে এখন থেকে প্রতি বছরই দিনটি জাতীয় দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে পালিত হবে।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন দেশের স্বাধীনতাসহ বঙ্গবন্ধুর সব
লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণা দানকারী ছিলেন ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার
প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্থানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কাছে
ছুটে আসতেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা জানতে। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পৌঁছে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাতেন। বিশেষ করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধুর
প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কিছু কুচক্রী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী, বাংলার মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার ডাকনাম ছিল রেণু। বঙ্গবন্ধু তাকে এ নামেই ডাকতেন। তার পিতার নাম শেখ জহুরুল হক এবং মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। তিনি ৫ বছর বয়সেই পিতামাতা হারান। ৮ বছর বয়সে চাচাতো ভাই শেখ মুজিবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর থেকেই তিনি ছিলেন জাতির পিতার আমরণ সঙ্গী। এই মহীয়সী নারী ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সপরিবারে স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খুনিচক্রের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।
দিনটিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৮টি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সর্বোচ্চ পাঁচ বাংলাদেশি নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক প্রদান করছে। সারাদেশে দুই হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে নগদ দুই হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা এবং চার হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে।
ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে আওয়ামী লীগ। দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]