আমার আপন বড় ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) বাড়ি থেকে কোথায় যেনো চলে গেছে। অনেক খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যাচ্ছে না। আমার ভাই শারিরীকভাবে খুব অসুস্থ এবং কিছুদিন আগে সে স্টোক করেছিলো। বড় ভাইকে খুঁজে পেতে ছোট ভাই মোঃ শাহিনুর রহমান যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মোঃ শাহিনুর রহমান উপজেলার নোয়ালী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ গাজীর ছেলে এবং বাড়ি থেকে চলে যাওয়া মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তার আপন বড় ভাই।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর-২০২২) সকালে রাজগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে, মোঃ শাহিনুর রহমান সাংবাদিকদের জানান- আমার আপন বড় ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শারিরীকভাবে অসুস্থ এবং কিছুদিন আগে সে স্টোক করেছিলো। গত ১৪ ডিসেম্বর-২০২২, সকালে বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত আমার ভাই বাড়িতে ফিরে আসেনি এবং কোথায় আছে তাও জানিনা। আমাদের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িসহ অনেক জায়গায় অনেক খোঁজাখুজি করেছি। কিন্তু আমার বড় ভাইয়ের কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। আমার ভাইয়ের ছবিসহ সোসাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। আমার জানামতে- ওইদিন আমার ভাই জাহাঙ্গীর আলমের গায়ে আকাশী রংয়ের শার্ট ও কালো চেক জাতীয় লুঙ্গি এবং কালো রংয়ের তোয়ালে পরা ছিলো।
মোঃ শাহিনুর রহমান জানান- আমার ভাইয়ের উপর খুব অত্যাচার করতো তার স্ত্রী। আমি প্রতিবাদ করতে গেলেই যতো দোষ। আমার ভাই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমার ভাবি (ভাইয়ের স্ত্রী) আমাকে নানাভাবে দোষারোপ করছে। বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে আমি চক্রান্ত করে আমার ভাইকে সরিয়ে রেখেছি। কিন্তু আমার ভাই জাহাঙ্গীর আলম কোথায় চলে গেছে, কোথায় আছে, আমি ও আমার পরিবার জানেনা।
মোঃ শাহিনুর রহমান আরও জানান- আমার ভাবি (আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী) আমার কোনো কথা বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না। আমার আপন বড় ভাই বাড়ি থেকে চলে যাওয়া এবং তাকে না পাওয়ার বিষয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর-২০২২ মণিরামপুর থানায় আমি সাধারণ ডায়েরী করেছি। যার নং- ১০২৬। আমার ভাই একজন সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ। যশোরের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]