দেশের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে আগামী মঙ্গলবার (২১ জুন) থেকে পানি কমতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বিভাগের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে বলা হয়েছে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে। তবে এই সময়ে উজানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভাটির দিকে অবনতি হতে পারে।
রোববার (১৯ জুন) সচিবালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশের ১২ জেলার ৭০টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত। নতুন করে ছয়টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী স্রোতের টানে ভেসে গেছে। আরেকজন বয়স্ক ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে সুনামগঞ্জে অপরিবর্তিত আছে। একই সঙ্গে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে অবনতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের রেকর্ড বৃষ্টি চরম দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মৌসুমের তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অন্তত ৪০ লাখ মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা।
সিলেট-সুনামগঞ্জে যে বন্যা চলছে তা ১২২ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
বন্যায় পানিবন্দি মানুষের মধ্যে হাহাকার ও আর্তনাদ চলছে। আশ্রয়ের খোঁজে পানি-স্রোত ভেঙে ছুটছে মানুষ। সবচেয়ে বিপদে আছেন শিশু ও বয়স্করা। আটকেপড়াদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে। যেখানেই শুকনো ও উঁচু জায়গা পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি এ দুই জেলায় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]