গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষ পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি ভূমিধসের জন্য আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিস্তৃত এলাকায়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুই জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এসেছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, দেশের দুই জেলা চট্টগ্রাম এবং বান্দরবানে বন্যা ও ভূমিধস পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করবে সেনাবাহিনী।
এদিকে, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। কক্সবাজারে পৃথক স্থানে পাহাড়ধসে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে তিনজন শিশু ও একজন নারী।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও চকরিয়া উপজেলার পূর্ব ভিলিজার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জান্নাত আরা (২৮) ও তার মেয়ে মাহিম আক্তার (২)। বাকি দুই শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদিকে, বান্দরবান সদরে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধসে একই পরিবারের মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন।
প্লাবিত হয়েছে হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। বান্দরবান-থানচি সড়কের ১২ মাইল এলাকায় পাহাড়ধসে সড়কে গাছ পড়ে বান্দরবান থেকে রুমা-থানচি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ফেনী, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এসব অঞ্চলের নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে থাকতে পারে। অবনতি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতির। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]