সমুদ্রের সম্পদকে ব্যবহার করে অর্থনীতি আরও গতিশীল এবং শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। নিজেদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে মেরিন ক্যাডেটদের কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৬ মার্চ) চট্টগ্রামের মেরিন ফিশারিজ একাডেমিতে ৪১তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মুজিববর্ষের পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা। কিন্তু একসময় সেখানে আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। জাতির পিতা যখন এই আইন প্রণয়ন করেন, ওই সময় পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের আইন ছিল না। তিনি আমাদের সে অধিকার আদায়ের পথ দেখিয়ে গেছেন। যে আইনের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রসীমা উদ্ধার করা খুব সহজ কাজ ছিল না। ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই আমরা ক্ষমতায় এসে সমুদ্রসীমা উদ্ধার করি। অথচ ৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর মৎস্যশিল্প, জাহাজ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম শিল্পগুলোতে সহজে প্রবেশ করতে সুযোগ তৈরি করি। নাবিকদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করি। নারীদের সমুদ্রপথে জীবন গড়তে ২০১০ সালে এই একাডেমিতে প্রথম নারী ক্যডেট ভর্তি শুরু হয়। এখন থেকে পাশ করে তারা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে পারছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে পাস করে ক্যাডেটরা এখন বেশির ভাগ বিদেশগামী জাহাজে কর্মরত রয়েছে। অনেকেই পিএইচডি করে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করছেন। অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন মেরিন ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করছেন।’
এ সময় ৪১তম ব্যাচের ক্যাডেটদের সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মজীবনের উন্নতির প্রধান ভিত্তি হচ্ছে কঠোর পরিশ্রম ও সময়ানুবর্তিতা। এখানকার অর্জিত জ্ঞান এবং প্রশিক্ষণ ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে কাজে দেবে। তোমরা দেশের সুনাম বৃদ্ধি করবে। দেশের স্বাধীনতার নীতি মেনে চলবে বলেই আমি মনে করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর শুধু দেশের জন্য না, বিশ্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ক্যাডেটরা সাহসের সঙ্গে কাজ করলে আমরা এখান থেকে আরও বেশি সম্পদ অর্জন করতে পারবে। সমুদ্র সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে যাতে অর্থনীতি আরও গতিশীল করতে পারি সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]