চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ গুগলি বুঝতে পারেনি, কোনো দিক দিয়ে বল যাচ্ছে। আমরা বহুদূর এগিয়ে গেছি। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ছোট্ট একটি কর্মসূচি ‘প্রবেশমুখে অবস্থা কর্মসূচি’ তে সাঁজোয়া যান নিয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের এত ভয়।
তিনি বলেন, সবচেয়ে খারাপ কাজ করেছে, একজন মুক্তিযোদ্ধা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। পরে ডিবি অফিসে নাটক সাজিয়েছে। ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করেছে-যা খুবই বড় প্রতারণা।
সরকার পক্ষে আবেদ আলী নির্বাচন পর্যবেক্ষক ভাড়া করে এনেছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘ওই ভাড়া করা লোকেরা বলে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। বাহ, তুমি কে ভাই এসব কথা বলার? তুমি ভাড়া করা।’
তিনি বলেন, ‘আবারো বাড়ি বাড়ি গ্রেফতার শুরু করেছে, তাদের বলতে চাই, গত ১৫ বছর কম নিপীড়ন করেছেন? দমন করতে পেরেছেন? অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, অন্যথায় পালানোর সময় পাবেন না।’
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নাকি বলেছেন আপনাদের ভয় না পেতে? অন্যায় না করলে ভয় কীসের? আমরা কর্মকর্তাদের বলতে চাই, জনগণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না, গ্রেফতার বন্ধ করুন।
বিএনপির গত ২৮ জুলাই মহাসমাবেশে ৫০ লাখ লোকের উপস্থিতি হয়েছে বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে শিগগির সরকার পতনের আন্দোলন ঘোষণা হবে।
তিনি বলেন, এখনো সময় আছে আন্দোলনে বাধা দেবেন না। এখনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করেই সরকারের পতন ঘটানো হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। সোজা কথায় না হলে ফয়সালা হবে রাজপথে। আমরা বহুদূর এগিয়ে গেছি। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ একসঙ্গে জেগে উঠেছে। দাবি একটাই, সরকারের পদত্যাগ। তিনি দাবি করেন, দেশে-বিদেশে তাদের (আওয়ামী লীগ সরকারের) সমর্থন নেই।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার এত ভীত যে ১ হাজার ২০০ লোককে গ্রেফতার করেছে। গত রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করেছে। গত ১৫ বছর এমন করে কি আটকাতে পেরেছে? গ্রেফতার করে এবার লাভ হবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]