হেলাল উদ্দিন, মনিরামপুর: ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়। বহু ক্ষুধার্ত মানুষ আজও অসহায় হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। তারা দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের জন্য প্রতিদিন বহু মানুষের দুয়ারে যাচ্ছে। কেউ দিচ্ছে, আবার কেউ দুর দুর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষ কতো অসহায়। তা তাদের দেখলেই বোঝা যায়। যারা এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তাদের বয়স ৬০ বছরের উপরে। তারা বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানে দোকানে যেয়ে টাকা, খাদ্য চেয়ে চেয়েই যাচ্ছে। তারা যখন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে বাড়ি বাড়ি যেয়ে চাউল, পুরাতন কাপড়, সামান্য কিছু টাকা চাই, তখন তাদের মুখের দিকে তাকালে বুকটা কষ্ঠে ফেটে যাওয়ার কথা। কারন তাদের এই বয়সে তাদের বাড়িতে বসে ছেলেদের আয় করা অর্থেই, তাদের খাদ্য গ্রহন করার কথা। কিন্তু এমন মানুষ এখনো দেখা যাচ্ছে, যারা বয়সের ভারে চলতে ফিরতে পারে না। তারা এখনো গ্রামে গ্রামে মানুষের দুয়ারে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য যাচ্ছে সাহায্য পাওয়ার জন্য।
মানুষ যে কতো কষ্ঠে এখনো আছে, তা তাদের দেখলেই বোঝা যায়। শুক্রবার জুম্মার দিন শহরের অথবা গ্রামের মসজিদের সামনে হাত পেতে দাড়িয়ে থাকা বয়স্ক মানুষগুলো কতো না কষ্ঠে তারা থাকে। সামান্য কিছুর প্রয়োজনে তারা কাউবাউ করে। এটা দেখলে এ সমাজের ধনী মানুষের হৃদয়ে লাগার কথা। কিন্তু কয় জনেরই বা লাগে। দেখা গেছে- এই শীতের সময় কতো মানুষ রাস্তার পাশে পাগল বেশে শুয়ে আছে। তাদের গায়ে কিছু নেই। শীতের কষ্ঠে জবু থবু অবস্থা হয়ে আছে। তাদের খবরও নেই না কেউ।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে- বর্তমান এমন পরিস্থিতির মানুষও আছে যারা এক মাসে মাছের গন্ধ পাইনি। বছরে একদিন মাংসের স্বাদ পাইনি। তারা কিন্তু হা-হুতাশ করে না। তারা দু’বেলা দু’মুটো মোটা চাইলের ভাত, মোটা কাপড় পেলেই সন্তোষ্ট। অসহায় মানুষগুলো কিন্তু বেশি কথা বলে না। তারা সব সময় নিশ্চুপ থাকে। কারন তারা অসহায়, দরিদ্র, মিসকিন। এক শ্রেণির মানুষ আছে এই অসহায় মানুষগুলোর কাছ থেকেও সুবিধা নিতে চাই। তারা কোন শ্রেণির মানুষ?
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]