বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করতে চাইলে ভারতকে তার নীতি পরিবর্তন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারত নিজেদের মতো করে নিজস্ব একটা ন্যারেটিভ ও ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে। যার উদ্দেশ্য একটি নির্দিষ্ট দলকে ক্ষমতায় রেখে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা।
শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে “ইউনিটি ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত প্রশ্ন: সমাধানের রাজনীতি কী” শীর্ষক সেমিনারে আলোচকের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যদি এগিয়ে নিতে হয়, তাহলে নতুন ন্যারেটিভ সৃষ্টি করতে হবে। সেগুলো হচ্ছে পারস্পরিক স্বার্থ, শ্রদ্ধা এবং হস্তক্ষেপ না করার নীতি। তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সমস্যা দ্বিপক্ষীয় মোকাবিলা করা যাবে না।
‘এখানে আঞ্চলিকতাবাদ নিয়ে আসতে হবে। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। চীনকেও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
সেমিনারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সমাধানের রাজনীতি কোথায়, সেটা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভারতের কী চাহিদা তা প্রথম পাঠ হওয়া উচিত নয়। বরং বর্তমান ও আগামীর বাংলাদেশের কী চাহিদা তার ওপর নির্ভর করেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।’
তিনি বলেন, ভারত ছাড়াও প্রতিবেশী অনেক রাষ্ট্র রয়েছে। ভারতকে বৃহৎ প্রতিবেশী হিসেবে এক প্রকার দাসত্ব করার যে মানসিকতা তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সবার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। তবে ভারতের যে আদিপত্যবাদী বাস্তবতা তা আমাদের স্বীকার করতে হবে।
‘বাংলাদেশের চাহিদাগুলোকে সামনে রেখেই নদী সংকটের সমাধান করতে হবে’—যোগ করেন তিনি।
ইউনিটি ফর বাংলাদেশের মুখপাত্র মঞ্জুর মঈনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্স সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, গবেষক আফিফা রাজ্জাক মুনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের শিক্ষক দীপ্তি দত্ত ও রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]