সচেতন মহল খুবই আনন্দিত এই সংবাদে। কারণ এই দুটো গেম নতুন প্রজন্মের মাথা একেবারে নষ্ট করে ফেলেছে। ছেলে মেয়েরা এখন কোন কথাই শুনতে চায় না, নাওয়া খাওয়া, পড়াশোনা ভুলে শুধুমাত্র ফ্রি ফায়ার আর পাবজি নিয়ে ব্যস্ত। বাচ্চাদের মন মানসিকতা নষ্ট হয়ে গিয়েছ।
একে করোনা, বিদ্যালয় নেই, অনলাইনেও ক্লাসের কোন যত্ন নেই, ফলে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা সুস্থ পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হয়ে আরো বেশি ঝুঁকে যাচ্ছে এই সমস্ত গেমের দিকে।
তবে এবার কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ল যেন। তবে সেটাও এখনো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না।
ফ্রি ফায়ার ও পাবজির মতো জনপ্রিয় দুই গেম বন্ধ হচ্ছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সুপারিশ করেছে শিক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দুই মন্ত্রণালয় থেকে এমন সুপারিশ পেয়ে এ নিয়ে আলোচনা করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আলোচনায় পাবজি, ফ্রি ফায়ার দুই গেমের আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রি ফায়ার এবং পাবজি গেম দুটি বন্ধে দুই মন্ত্রণালয় থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এটি খুব সত্য যে ফ্রি ফায়ার আর পাবজি দুটি গেম কিশোর-কিশোরী এবং তরুণদের মধ্যে প্রচণ্ড আসক্তি তৈরি করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই দুটি গেম কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করেছে। কিন্তু আচমকা বন্ধ করলে উল্টো প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। ধীরে বিকল্প পদ্ধতিতে বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে।
বন্ধ করলেও তরুণরা ভিপিএন দিয়ে গেমটি খেলবে এমন প্রশ্নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হ্যাঁ যারা এ ধরনের গেমে আসক্ত তারা ভিপিএনসহ নানা বিকল্প উপায়ে গেমটি খেলতে পারে। তবে আমরা সেসব বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করবো।
পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম দুটির ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যখন আগামীর তরুণ প্রজন্মকে সহজলভ্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি, ঠিক তখন আগামী তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বিপথগামী হয়েছে, যা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। টে
লিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং নিয়ন্ত্রক কমিশনকে দ্রুত এবং দ্রুততার সহিত এ গেমগুলোর অপব্যবহার বন্ধ এবং প্রযুক্তির ভালো দিক তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়তে আহ্বান জানাচ্ছি।
ছেলে-মেয়েদের এমন আসক্তি তাঁদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে ফেলছে। খারাপ দিকে আসক্তি থেকে ভালো পথে আনতে হবে তাঁদের।
এছাড়াও আরো কিছু কারণ দেখানো হয়েছে পাবজি, ফ্রি ফায়ার বন্ধের বিষয়ে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ ধরনের গেম খেলার ফলে প্রচুর পরিমাণ অর্থ বিদেশে যাচ্ছে। অনলাইনে গেম খেলার পাশাপাশি ভার্চ্যুয়ালে অর্থ লেনদেন হচ্ছে এমএমএস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র, সমাজ, ব্যক্তি এবং পরিবার।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]