সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুবক গোলাম রসুল পিতা হত্যার বিচারের দাবিতে আদালতের বারান্দায় দিনের পর দিন ঘুরছে।
পুলিশের কাছে অভিযোগ করে সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়ায় গোলাম রসুল পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনক (পিবিআই) দিয়ে তদন্ত করার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন।
অভিযোগ, মামলার কাগজপত্র ও আদালতের নথিপত্র পর্যালোচনা জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট বাজারে উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচাতর গ্রামের নিজাম উদ্দিন সরদার একটি মুদি দোকান ও ফ্লেক্সিলোডের দোকান পরিচালনা করেন। প্রতিদিনের মতো ২৯/০৬/২০২২ তারিখে রাতে দোকান বন্ধ করে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে উপজেলার উত্তর দিগং গ্রামের প্রবাসী আবদুস সামাদের স্ত্রী তাহমিনা খাতুন কৌশলে ডেকে তার বাড়িতে নেন। রাতে এক পর্যায়ে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
গোলাম রসুল অভিযোগ করেন, তার পিতার তাহমিনা খাতুনের কাছে বড় অংকের আর্থিক লেনদেন ছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় জন্য ওই বাড়িতে তার পিতাকে হত্যা করেছে আসামিরা।
গোলাম রসুল অভিযোগ করে আরো বলেন, ঘটনার দিন পিতা হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হওয়ায় আমি কলারোয়া থানায় যাই তাই লিখিত এজাহার নিয়ে। সবাই থানার কর্মকর্তারা আমার এজাহারটি না নিয়ে তাদের লিখিত একটি এজাহারে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হওয়ায় এ সময় ওই এজাহারে স্বাক্ষর করে দেই। থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন আমার মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি পিতৃ হত্যা মামলার সঠিক তদন্তের জন্য পিবিআই তদন্ত চেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর করেছি এবং আদালতেও আবেদন করেছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপ-পরিদর্শক ওসমান গনি বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]