তামিম ইকবালের দুই সতীর্থ মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং সাকিব আল হাসান রাজনীতিতে পা রেখেছেন। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। বিতর্কিত নির্বাচনে জয় পেয়ে সংসদ সদস্য বনেছেন। কিন্তু তামিম কখনোই রাজনীতির চৌকাঠ মাড়াননি।
তবে গত শনিবার (১০ মে) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’-এ যোগ দেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক। সেখানে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মঞ্চের অগ্রভাগে ছিলেন তামিম। যদিও সমাবেশে নিজের বক্তব্যে রাজনৈতিক বিষয়াবলী সরাসরি এড়িয়ে গেছেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতেই তামিম নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, ‘আমি পলিটিক্যাল কেউ না। আমি একজন স্পোর্টসম্যান। তাই স্পোর্টস নিয়েই কথা বলব।’
এরপর তামিম গত ১৫ বছরে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের পিছিয়ে পড়ার কথা বলেন। তার ভাষায়, ‘একটা সময় সব খেলাতেই জাতীয় দলে চট্টগ্রামের ৬-৭ জন করে থাকত। কিন্তু গত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম থেকে কষ্টেসৃষ্টে একজন কি দুইজন সুযোগ পেয়েছেন। এমনটা কেন হয়েছে, তার জবাব খুঁজে বের করা জরুরি।’
ভবিষ্যতে এই চিত্র বদলাবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক এবং দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
তবে একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশে তামিমের যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ তাকে রাজনীতিতে জড়িয়ে সাকিব-মাশরাফির বর্তমান দুরবস্থার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
যদিও তামিম নিজের বক্তব্যের শুরুতেই ‘আমি পলিটিক্যাল কেউ না’ বলে রাজনীতির আলোচনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে যেখানে বিএনপির এই সমাবেশের শিরোনামই ছিল ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’, সেখানে নিজের রাজনৈতিক অবস্থানের একটা প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিয়েছেন তামিম, তা বলাই বাহুল্য।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]