রাজধানীর ধোলাইখালে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আটক নয় বরং হামলা থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ।
শনিবার ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবিপ্রধান জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছিল তখন ধাওয়া খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পরে তাকে সেভ করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
হারুন আরও বলেন, তারা অনুমতি না পেয়েও কর্মসূচি পালন করেছে। তারা পুলিশের গায়ে আঘাত করেছে, আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছে। অবশ্য আমাদের কাছে আগে থেকে এমন একটা গোয়েন্দা তথ্য ছিল। সেই কারণে আমরাও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছিলাম। এর মধ্যেও তারা ইটপাটকেল ছুড়ে পুলিশকে আহত করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ পরিস্থিতিতে আমরা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সেভ করার জন্য ডিবিতে নিয়ে আসি। তিনি নেতাকর্মীদের হামলার মধ্যে পড়েছিলেন। নেতাকর্মীরা ঢিল মারছিল। আমরা তাকে সেভ করে নিয়ে আসার পর এখন আবার আমাদের গাড়িতেই বাসায় পৌঁছে দিচ্ছি। তারা আজ ন্যাক্কারজনক কাজ ঘটিয়েছেন।
মিন্টো রোডে কার্যালয়ের সামনে ডিবি প্রধান সাংবাদিকদের আরো বলেন, বিএনপির ইট-পাটকেল-ঢিলে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সেই ঢিল বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্রের গায়েও লেগেছিল। পরে তাকে নিরাপত্তা দিতে তুলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়েছিল। পরে নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর সব প্রবেশমুখে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সকাল থেকেই অবস্থান নেন। এ সময় রাজধানীর নয়াবাজারের ধোলাইখাল মোড়ে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। বেলা ১১টায় নয়াবাজারে বিএনপি অফিসের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা গয়েশ্বরসহ অন্তত সাতজন নেতা-কর্মী আহত হন।
গয়েশ্বর রায় আহত হলে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]