শনিবার, নভেম্বর ২২, ২০২৫
প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বিচার শুরুর আগেই এক বছর ধরে কারাগারে জবির সেই খাদিজা

এক বছর ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। তবে তিনি যে মামলায় গ্রেফতার আছেন, সেই মামলার বিচার শুরুই হয়নি।

এদিকে গত জুলাইয়ে আপিল বিভাগের এক আদেশে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত (৪ মাস) তার জামিনসংক্রান্ত আবেদনের শুনানি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, এর আগে তার জামিনসংক্রান্ত আবেদন শুনানির সুযোগ নেই।

জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২০ সালে খাদিজার বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন থেকে সাত বছরের সাজা হতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুর্বলতা এটিই। বিচার শেষ হওয়ার আগে চাইলেই অজামিনযোগ্য ধারায় যে কাউকে দীর্ঘদিন কারাগারে রাখা যায়। এটি আইনের শাসনের পরিপন্থী।

খাদিজা জবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদী ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর মেজর দেলোয়ার হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক ভিডিও দেখতে পান। সেখানে সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশ বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

এ ছাড়া তারা উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করছে। এটা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারার অপরাধ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সঞ্চালক খাদিজা গ্রেফতার হলেও মেজর দেলোয়ার এখনো বিদেশে অবস্থান করছেন।

বিচারিক আদালতে একাধিকবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ হয়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগ ওই আদেশ চার মাসের জন্য মুলতবি রাখেন। খাদিজা বর্তমানে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দি।

এ সময় খাদিজার বয়সও আমলে নেওয়া হয়নি। ২০২০ সালে খাদিজার বিরুদ্ধে মামলার সময় খাদিজার বয়স ছিল ১৭ বছর।

তার বোন সিরাজুম মুনিরা বলেন, বিচারের সময় তার বয়সকে আমলে নেওয়া হচ্ছে না। এটি যদি আমলে নেওয়া হয়, তা হলে তার বিচার হবে শিশু আদালতে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ভূমিকম্পে শিশুসহ নিহত ৬, আহত দুই শতাধিক

গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে দেশের তিন জেলায় শিশুসহ ছয়জনেরবিস্তারিত পড়ুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন ঠিক করবে পরবর্তী সংসদ : অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পর নতুন সংবিধানবিস্তারিত পড়ুন

  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা
  • দেশ এগিয়ে গেলে মা-বোনদের ভয়ে বসবাস করতে হবে না: তারেক রহমান
  • ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় ছিল কলঙ্কিত ও ত্রুটিপূর্ণ’
  • মেজর সিনহা হত্যায় ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ
  • সাকিব আল হাসানকে দুদকে তলব
  • হাসিনাকে ফেরাতে নতুন পথে হাঁটছে সরকার
  • নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা
  • গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ‘মব ভায়োলেন্স’ থেকে সরে আসতে হবে: মির্জা ফখরুল
  • ‘ইচ্ছামতো’ আইন-বিধি সংশোধন করায় ইসির প্রতি ক্ষোভ সাকির
  • প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে ‘ওয়াজ-মাহফিল’ সংক্রান্ত নিউজ ভুয়া : প্রেস উইং
  • পোস্টাল ভোটিং: প্রবাসীদের নিবন্ধনের সময় ৫ দিন, কোন দেশে কবে?
  • প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘গ্রেড’ নিয়ে সুখবর