বিজেপিকে রুখতে ব্যর্থ কংগ্রেস। কংগ্রেস নিয়ে এভাবেই সুর চড়ালেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
তিনি বলেন, বিজেপিকে পরাজিত করার দায়িত্ব এখন তার দলের উপর, কারণ কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মমতার দাবি, বিজেপিকে উৎখাত করে একটি নতুন ভারত গঠনের ভার দেশটির জনগণ তৃণমূল কংগ্রেসের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। এই বছরের শুরুর দিকে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে জয়লাভের পর তৃণমূল কংগ্রেস সারা ভারতের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
মমতা বলেন, বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনের পরাজয় হজম করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ দিল্লি। ভারতের মানুষ জনবিরোধী নীতি থেকে মুক্তি চায় এবং রাজনীতি ও ফ্যাসিবাদী শক্তির পরাজয় চায়।
তিনি আরও বলেন, ভারতের মানুষ এখন তৃণমূলকে ঘিরে নতুন ভারতের স্বপ্ন দেখছে। বাংলার সীমানা অতিক্রম করে তৃণমূল কংগ্রেস এখন বিভিন্ন রাজ্য থেকে ডাক পাচ্ছে। জনগণের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের উচিত নতুন ভারতের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়া। তাই আমাদের জনগণের আহ্বানে সাড়া দিতে হবে। জনগণের ইচ্ছা পূরণ করতে হবে এবং সকল বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একমঞ্চে নিয়ে আসতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের পর তৃণমূলের পাখির চোখ ত্রিপুরা। ২০২২ এবং ২০২৩ সালে গোয়া ও ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ভোটে জেতার পর মমতা ব্যানার্জি নিজেই দিল্লিতে গিয়ে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন। তাতে কোথাও কোনো ফাটল চোখে পড়েনি। তবে বিজেপি বিরোধী বিকল্প শক্তি যে তার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল, তা অবশ্য জানাতে ভোলেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]