বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অতিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চল সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মানুষ। গত কয়েকদিনে উপজেলায় লোডশেডিং বেড়েছে। আষাঢ়ে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ তখন বিদ্যুতের এমন আসা-যাওযার লুকোচুরি খেলায় দূর্বিষহ বেকায়দায় পড়েছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বা গ্রামের মানুষজন।
জানা গেছে, প্রয়োজনীয় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম বলে এই লোডশেডিং। একদিকে ঘনঘন লোডশেডিং অন্যদিকে ঝাপসা গরম প্রকট আকার ধারণ করছে। ফলে উপজেলার হাজার হাজার মানুষ পড়েছেন বড় বিপাকে। এদিকে ঘনঘন বিদুৎ বিভ্রাটের কারনে ছাত্র-শিক্ষক,সাধারণ জনমনে ও সুশীল সমাজের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
শিক্ষক মহাসিন রেজা মুন্না এ প্রতিবেদকে বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মত জঘন্য বিদুৎ লাইন নাই বলে জানা নাই আমার। তিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারনে বিদুৎ সাশ্রয় হচ্ছে তবুও মারাত্মক লোডশেডিং চলছে কেন বুঝিনা। তাছাড়াও বিশেষ করে নামাজের প্রতিটি ওয়াক্তে বিদুৎ থাকে না।
এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া , দিনের বেলায় প্রচন্ড গরমে বার বার বিদুৎ চলে যাচ্ছে আবার রাত হলেও প্রায় এক ঘন্টা বা আধাঘন্টা বিদুৎ থাকছে না এতে করে আমাদের লেখাপড়া করতে বিঘ্ন হচ্ছে। একদিকে প্রচুর গরমে ঘন ঘন বিদুৎ চলে যাচ্ছে অন্যদিকে পরীক্ষা সন্নিকটে হওয়ায় ভালো ভাবে লেখাপড়া করতে পারছিনা এতেকরে আমাদের পরিবার খুব দুচিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাছাড়াও, বিদ্যুৎ না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ দেখাচ্ছেন অনেকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, সাতক্ষীরা পল্লি বিদুৎ সমিতির কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর সাব জোনাল অফিসের কর্মরত সহকারী জেনারেল ম্যানেজার স্বপন কুমার পাল বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণ গ্যাস স্বল্পতা ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি। এজন্যই মূলত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
তবে তিনি সাধারণ জনগনের উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি তারা রান্না-বান্নার কাজটা জালানি কাঠ দিয়ে আর বাড়িতে অপ্রয়োজনে লাইট, ফ্যান না ব্যবহার করলে হয়তো এই ঘন ঘন বিদুৎ বিভ্রাট থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি আশা করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]