হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজের ভল্ট থেকে ৫৫ দশমিক ৫১ কেজি স্বর্ণ গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার রাতে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
বিমানবন্দর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. এনায়েত কবীর মামুন বলেন, রোববার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস হাউসের নিজস্ব গুদাম থেকে সোনা চুরির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, খোয়া যাওয়া এসব সোনার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৫৫ কোটি টাকার বেশি। এ স্বর্ণের মধ্যে বার ও অলংকার রয়েছে। গায়েব হওয়া স্বর্ণ কাস্টমস গুদামের একটি আলমারিতে বাক্সের মধ্যে সংরক্ষিত ছিল। সেই বাক্সটিই চুরি হয়ে গেছে। কাস্টমসের গুদামের আলমারি ভেঙে চুরি করা হয়েছে বাক্সটি।
এ ঘটনায় চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন কাস্টম কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রোববার গভীর রাতে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।
এছাড়া বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিন রাত সাড়ে ১০টায় কাস্টমস কমিশনার বলেন, আমরা যাদের চিহ্নিত করেছি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা এখনো চিহ্নিত হয়নি তাদের শনাক্ত করতে যুগ্ম কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, চুরির ঘটনায় প্রাথমিকভাবে যাদের শনাক্ত করেছি তাদের মধ্যে সহকারী রাজস্ব পদমর্যাদার চার কর্মকর্তা আছেন। এছাড়া সিপাহী পদমর্যাদার কয়েকজন আছে।
জড়িতদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবার নাম এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হলেন-শহিদ, শাহেদ, আকরাম ও মাসুম।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ বলেন, বিমানবন্দরের মতো কেপিআই এলাকায় বাইরের কোনো লোকের ছাদ পর্যন্ত পৌঁছানো সন্দেহজনক। বিমানবন্দরের মতো স্পর্শকাতর জায়গার ভল্ট থেকে স্বর্ণ চুরি হওয়া কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এসব ঘটনা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা উচিত।
এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরের দিকে ভল্ট থেকে স্বর্ণ চুরির বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে, এটি কোনো সাধারণ ভল্ট নয়। সাধারণ কোনো ব্যক্তি বা চোরের চুরি করা সম্ভব নয়। এছাড়া এটি সম্পূর্ণ সংরক্ষিত এলাকা। পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে।
বিমানবন্দর থানার ওসি মো. আজিজুল হক মিঞা বলেন, প্রাথমিকভাবে যাদের জড়িত বলে মনে হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তের পরই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]