হাতকড়া পরানো অবস্থায় নববধূর সাজে এক নারীর ছবি প্রকাশ করেছে মেক্সিকোর বিচার দপ্তর। আজ মঙ্গলবার এই ছবির পেছনের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বের একাধিক গণমাধ্যম।
স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাতকড়া পরানো ওই নারীর নাম ন্যান্সি-এন। গত মাসে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য মেক্সিকোর ভিলা গুয়েরেরো অঞ্চলের একটি চার্চের ভেতরে ঢোকার আগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে মেক্সিকোর পুলিশ। চার্চের সামনে তাঁকে বহন করা গাড়িটি পৌঁছানোর পর দরজা খুলে বের হয়ে চার্চে ঢোকার আগ মুহূর্তেই তাঁকে ঘিরে ধরে ওত পেতে থাকা পুলিশ সদস্যরা।
তবে পুলিশ ওই চার্চে বর-কনে দুজনকেই গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ের আসর থেকে বুদ্ধি খাটিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বর। পুলিশকে ফাঁকি দেওয়া ওই বরের নাম ক্ল্যামেন্তে-এন। তবে ‘এল রেটন’ নামে তাঁর একটি ডাকনামও আছে, যার অর্থ হলো ‘ইঁদুর’।
বর-কনের ওপর এন নির্দয় হওয়ার কারণও ছিল। কারণ আরও ৬ জন সহ তাঁরা চাঁদাবাজির দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন। কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকো সিটির কাছাকাছি টোলুকা শহরে মুরগি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ আছে তাঁদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, একটি মুরগির খামার থেকে চার শ্রমিককে অপহরণের দায়েও তাঁরা অভিযুক্ত।
গত শুক্রবার হাতকড়া লাগানো ন্যান্সির ছবি সহ চাঁদাবাজি করার একাধিক প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে মেক্সিকোর বিচার বিভাগ। অভিযুক্ত ৮ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত শুধু ন্যান্সিই ধরা পড়েছেন। তাঁরা সবাই লা ফ্যামিলিয়া মিচোয়াকানা ড্রাগ কার্টেল নামে পরিচিত একটি মাফিয়া সংগঠনের সদস্য। এই ড্রাগ কার্টেলটির বিরুদ্ধে গত মাসের শুরুর দিকে গুয়েরেরো অঞ্চলে ড্রোন হামলা করে অন্তত ৬ জনকে হত্যা করারও অভিযোগ রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, পোল্ট্রি মোরগ ও ডিমের ব্যবসার চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গ্যাংগুলো একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে। গত জুলাইয়ে টোলুকাতে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হলে তাদের বিরোধ আরও বেড়ে যায়। বিচার দপ্তর পরে ‘এলপেচা’ নামে একটি গ্যাংয়ের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]